বাংলাদেশিদের ‘পুশব্যাক’ করা হচ্ছে জানেন না মমতা

শত শত বাংলাদেশিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন। আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এই ধরনের কথিত ‘পুশব্যাকে’র প্রশ্নে তার সরকার সিদ্ধান্ত নেবে মানবিকতার ভিত্তিতেই।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রাজ্যের অ্যাক্টিভিস্ট ও মানবাধিকার কর্মীরা। তারা উল্লেখ করেন, এটা মিথ্যা কারণ তার সরকারের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের সীমান্তের অন্য পারে ঠেলে দেওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়।

বস্তুত ভারতের নানা প্রান্ত থেকে অবৈধ বাংলাদেশি সন্দেহে আটক নারী-পুরুষদের দলে দলে কলকাতায় নিয়ে এসে গোপনে ও জোর করে সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করে আসছে মাসদুয়েক আগে থেকেই। এর আগে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ব্যাঙ্গালোর থেকে ৫৯ জনের এমনই একটি দলকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু দিনতিনেক বাদেই তারা সবাই রাতারাতি উধাও হয়ে যান।

গণমাধ্যমে দেয়া আরেক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, তার সরকার এ ব্যাপারে কিছুই জানত না। সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, ‘এখানে যখন ওদের পাঠিয়েছিল আমাদের বলে-কয়ে কিছু পাঠায়নি। ওরা এখানে আসার পর আমরা দেখলাম। তখন ওদের খাবারদাবারও কিছু জোটেনি। এরপর দুদিনের জন্য আমরা ওদের এখানে থাকা-খাওয়ার সব বন্দোবস্ত করেছিলাম।

কিন্তু তারপর ওদের কী হলো, সে ব্যাপারে আমাদের কাছে আর কোনো খবর নেই।’ কিন্তু তাহলে ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার যখন এভাবে কথিত বাংলাদেশিদের সীমান্তের অন্য পারে ঠেলে দিতে চায়, সেখানে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কি কোনো ভূমিকা-ই থাকে না? এ প্রশ্নের জবাবে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘এখানে আমার কী করা উচিত, কী করব সেটা এখনই আমি বলতে চাই না। এটা আসলে পরিস্থতির ওপর নির্ভর করে।’

এসএইচ-১১/১৬/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)