জেফ বেজোসের ফোন হ্যাক করেছিলেন সৌদি যুবরাজ!

আমাজনের বিলিওনেয়ার জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে। এক বিশেষ প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান গতকাল মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি দূতাবাস এ খবরকে ‘মনগড়া’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা এ নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

মোহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদির ভবিষ্যৎ বাদশাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৮ সালের ১ মে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পাঠানো একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজের পর বেজোসের ফোন হ্যাকড হয়ে যায়। ওই নাম্বারটি সালমান নিজে ব্যবহার করতেন। সেই ভিডিও বার্তায় ক্ষতিকর ফাইল সংযুক্ত ছিল যার কারণে বেজোসের মোবাইল হ্যাকড হয়।

এতে বেজোসের ফোন থেকে বড় ধরনের তথ্য চুরি করা হয়। তবে তা কী ধরনের তথ্য এবং কীভাবে তা ব্যবহার করা হয়েছে তা জানাতে পারেনি গার্ডিয়ান।

ওই ঘটনার নয় মাস পর বেজোসের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে স্পর্শকাতর খবর প্রকাশ করে মার্কিন সাময়িকী ন্যাশনাল এনকোয়ারার। বেজোসের মালিকানাধীন ওয়াশিংটন পোস্টে কাজ করতেন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি।

বেজোসের ফোন হ্যাক করার ৫ মাস পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে খাশোগিকে তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়। খাশোগি সৌদি সরকারের সমালোচনা করে কলাম লিখতেন ওয়াশিংটন পোস্টে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ হত্যার জন্য সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকেই দায়ী করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে বেজোসের আইনজীবনী মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে শুরু হওয়া তদন্তে বেজোস সহায়তা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসএইচ-২২/২২/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)