আদালতের রায়ে কান্না থেমেছে রোহিঙ্গাদের

নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) মামলার অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে খুশি রোহিঙ্গারা। দাবিকৃত ছয়টির মধ্যে চারটি তাদের পক্ষে আসায় প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। এ রায়ে প্রতিক্রিয়া দেশ-বিদেশের রোহিঙ্গা নেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এই রায়ে স্বস্তি মিলেছে তাদের।

এই রায়ে রোহিঙ্গাদের মনের ভেতরে যে আতঙ্ক এবং চাপা কান্না ছিল তা আপতত থেমেছে। এখন আদালতের রায় বাস্তবায়নের অপেক্ষায় তারা।

বৃহস্পতিবার বিকালে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন চারটি আদেশ দিয়েছেন আইসিজে।

সেগুলো হচ্ছে শাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে অং সান সু চি-র যুক্তি খারিজ করা হয়েছে, মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা রোধে সব ব্যবস্থা নিতে হবে, মিয়ানমারকে অবশ্যই ধ্বংস রোধ করতে হবে এবং সম্পর্কিত প্রমাণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে, মিয়ানমারকে আজ থেকে ৪ মাসের মধ্যে এবং মামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

একই দিন বিকেলে টেকনাফের কয়েকটি ক্যাম্পে ঘুরে দেখা যায় ছোট ছোট দোকানে টিভি ও রেডিওতে খবর দেখতে ব্যস্ত ছিল রোহিঙ্গারা। এসময় টেকনাফের জাদীমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. ইসমাইল বলেন, আইসিজে দেওয়া রায় নিয়ে আমরা অনেক খুশি, এইটি মাত্র শুরু। মনে হচ্ছে এইটি বিচারের প্রথম স্বাদ।

তাছাড়া এই রায় দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। কিন্তু প্রত্যাবাসনের বিষয়টি যদি সামনে আনা যেতো তাহলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করা যেতো।

এসএইচ-১৪/২৪/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)