টানা ৪০ দিন যুদ্ধ করার অস্ত্র মজুত করছে ভারত

অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে টানা ৪০ দিন যুদ্ধ করার মতো অস্ত্র মজুতের কাজ শুরু করেছে ভারত। পুরোদস্তুর যুদ্ধ লাগলে প্রাথমিকভাবে ১০ দিন যুদ্ধ করার মতো রসদ দিয়ে অস্ত্রভাণ্ডারকে সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২২-২৩ সালের মধ্যে সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

আনন্দবাজার পত্রিকা নামহীন বিভিন্ন সূত্রের বরাতে সোমবারের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিবেশী অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চীন এবং ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তানের কথা মাথায় রেখেই ভারত নাকি তার সমরাস্ত্র ভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করছে। তবে হঠাৎ কোনো যুদ্ধ বাধলে ভারতের তা সামাল দেয়ার মতো অবস্থা নেই, এমনটা ভাবাও নাকি হবে ভুল।

কলকাতার ওই বাংলা দৈনিকটি তাদের অনলাইনে প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাতে আরও জানাচ্ছে, ভারতের যেসব অস্ত্রের বিশাল ঘাটতি ছিল তা ইতোমধ্যেই পূরণ করা হয়েছে। আর এখন দেশটির সামরিক বাহিনী টানা ৪০ দিন যুদ্ধ করার মতো গোলা-বারুদ মজুত করার লক্ষ্যে ধীরে ধীরে আগানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

২০১৭ সালে ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) দফতর সামরিক বাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ভারতের সমরাস্ত্র ভাণ্ডারে যে ১৫২ ধরনের গোলা-বারুদ মজুত রয়েছে তার মধ্যে ৬১ ধরনের অস্ত্রের পরিমাণ বেশ কম। তা দিয়ে টানা ১০ দশ দিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, দেশের বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোকে আট ধরনের ট্যাঙ্কসহ বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র বানানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে এই অস্ত্র তৈরি করবে তারা। অস্ত্রের গুণগত মান এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতে দেশের ৪১টি সমরাস্ত্র কারখানার সঙ্গেও কাজ শুরু করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এসএইচ-২৬/২৭/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)