সৌদিতে তাণ্ডব চালিয়ে ইসরায়েলমুখী পঙ্গপালের ঝাঁক

পঙ্গপালের আক্রমণে আফ্রিকার সোমালিয়া, ইথিওপিয়া এবং কেনিয়াসহ কয়েকটি দেশের ফসলী জমি উজাড় হয়ে গেছে। এবার পঙ্গপালের আক্রমণের শিকার হয়েছে সৌদি আরব।

সৌদি আরবের প্রায় সব ক’টি অঞ্চলেই হানা দিয়েছে পঙ্গপাল। পঙ্গপালের আক্রমণে ইতোমধ্যে দেশটির জাজান, আসির, আল-বাহা, আল-লেখ, কুনফোদাহ ও মক্কার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, এ অঞ্চলের আবহাওয়া পঙ্গপালের বংশবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত হওয়ায় এবং তাদের ডিম দেয়ার সময় হয়ে যাওয়ায় অচিরেই এই সংখট আরও তীব্র হয়ে দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ জর্ডান পঙ্গপালের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সৌদি আরব থেকে আসা পঙ্গপালই সেখানে তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়। যে কোনো সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ইসরায়েলেও পঙ্গপাল প্রবেশ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হঠাৎ করে পঙ্গপালের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে অস্বাভাবিক জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন অনেকেই।

এর আগে, পঙ্গপালের কারণে পাকিস্তান গত ২০ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছে। পঙ্গপালের ঝাঁক দেশটির তুলা, গম, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এ কারণে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে পাকিস্তান। দেশটির সীমান্তবর্তী ভারত-চীনেও ক্ষতিকর এই পোকা প্রবেশের জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাকিস্তান থেকে পঙ্গপালের ঝাঁক ছড়িয়ে পড়ে ইয়েমেনে। সেখান থেকে লোহিত সাগর পার হয়ে হানা দিয়েছে আফ্রিকার ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, সোমালিয়ার মতো খাদ্য সংকটে থাকা দেশগুলোতে। পঙ্গপাল সংকটে সোমালিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকার।

উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে, একা থাকলে পতঙ্গ বেশ নিরীহ প্রাণী, কিন্তু দলবদ্ধ অবস্থায় এরা হয়ে ওঠে বিধ্বংসী।

জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন ফাও বলছে, এক বর্গকিলোমিটার আকারের পঙ্গপাল এক সঙ্গে যে খাবার খায় তা দিয়ে ৩৫ হাজার মানুষকে এক বছর খাওয়ানো সম্ভব। একটি বড় পঙ্গপাল দিনে ১২০ মাইল পর্যন্ত জমির ফসল খেয়ে ফেলতে পারে। কেবল খাবারই খায় না তারা, একই সঙ্গে প্রজননের কাজটিও করে।

এসএইচ-১৭/২০/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)