মজুদের পাঁচগুণ বেশি সোনার সন্ধান ভারতে

ভারতের উত্তরপ্রদেশে ফের স্বর্ণখনির সন্ধান মিলল। রাজ্যের সোনভদ্র জেলার বেশ কিছু এলাকায় বিগত কয়েক দিন ধরেই খননকার্য চালানো হচ্ছিল।

দুই দশক ধরে অনুসন্ধানের পর উত্তর প্রদেশে দুটি স্বর্ণখনির সন্ধান পেয়েছে ভারতের ভূতাত্ত্বিক জরিপ এবং উত্তরপ্রদেশ ভূতত্ত্ব ও খনি অধিদপ্তর। যাতে মজুদ রয়েছে তিন হাজার তিনশ ৫০ টন স্বর্ণ। যা দেশটির বর্তমানে মোট মজুদ স্বর্ণের পাঁচগুণ (৬২৬ টন)।

পরিসংখ্যান বলছে, গোটা দেশের কাছে যে পরিমাণ সোনা সংরক্ষিত আছে, তার পাঁচ গুনের সন্ধান মিলেছে সোনভদ্র জেলায়। গোটা দেশের কাছে এই মুহূর্তে ৬২৬ টনের কাছাকাছি সোনা রয়েছে। আর সোনভদ্র জেলার দুই জায়াগায় রয়েছে ৩৩৫০ টন সোনা। অর্থাৎ ৩৩৫০০ কিলো সোনা। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে, এই বিপুল পরিমাণ আদতে গোটা দেশের সংরক্ষিত সোনার পাঁচগুন।

সংবাদমাধ্যম এএনআই-এর কাছে সোনভদ্র জেলার খনি আধিকারিক কেকে রাই বলছেন, ‘বিপুল পরিমাণ সোনা মিলেছে রাজ্যের সোনাপাহাড়ি এবং হারদি মাঠ এলাকা থেকে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে অনুমান করা হচ্ছে যে, সোনাপাহাড়ি এলাকা থেকে ২৭০০ টন সোনা উদ্ধার করা হয়েছে এবং হারদি মাঠ এলাকা থেকে ৬৫০ টন।’

দেশটির প্রশাসনিক সূত্র জানায়, ২০০৫ সাল থেকেই এই এলাকায় সোনা খোঁজার কাজ করে যাচ্ছে জিএসআই অর্থাৎ জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার। লাগাতার গবেষণা এবং অনুসন্ধানের পর ২০১২ সালে সোনার উপস্থিতি প্রমাণ হয়েছিল ওই এলাকায়।

জিএসআই টিমের তরফে জানানো হয়েছিল, সোনভদ্রের পাহাড়েই কয়েক হাজার টন সোনার ভাণ্ডার রয়েছে।

উত্তর প্রদেশের মাওবাদী উপদ্রুত সোনভদ্রায় খনি দুটি অবস্থিত। স্বর্ণখনির এলাকা নির্ধারণে বৃহস্পতিবার সাত সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে প্রদেশটির খনি বিভাগ।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ সোনভদ্রা সহজে খনন করা সম্ভব। খনিজ সম্পদ উত্তোলনে সরকার শিগগিরই নিলাম ডাকবে।

স্বর্ণ ছাড়াও ওই এলাকায় দুর্লভ খনিজ সম্পদ ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কর্মকর্তারা। প্রদেশটির বুন্দেলখন্দ ও বিদ্যান জেলায় সোনা, হীরা, প্লাটিনাম, চুনাপাথর, গ্রানাইট, ফসফেট, কোয়ার্টজ এবং চীনামাটির মতো মূল্যবান খনিজ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।

এসএইচ-২৩/২২/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)