করোনাভাইরাস আতঙ্কে ১৭ হাজার বাংলাদেশি অবরুদ্ধ

দেগু শহরে আছেন চার হাজার বাংলাদেশি। বাংলাদেশি জিয়াউর রহমান বলেন, দেশিদের সঙ্গে ফেসবুক বা অন্য উপায়ে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের কথাবার্তায় বুঝতে পারছি- তারা ভীষণভাবে আতঙ্কিত। তার এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার লোক বাস করে। কাউকে রাস্তায় বের হতে দেয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, দুইদিন আগে তিনি শপিং মলে গিয়েছিলেন বাজার করতে। খাদ্যদ্রব্য তেমন একটা নেই। ফলমূলের অভাব দেখা যাচ্ছে। মানুষজন আগেই সব কিনে ফেলেছে। তিনি হ্যান্ডওয়াশ পাননি।

দেগু থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে বুসান শহরে থাকেন এ জামান শাওন। তিনি বলেন, বুসান শহরে ৬/৭ জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন। রাস্তায় লোকজন কমে গেছে। আতংক দেখা দিয়েছে। ১০ মিনিট পর পর মোবাইলে টেক্সট মেসেজ করে লোকজনকে নানা স্বাস্থ্য নির্দেশিকা জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ কোরিয়ার পুসান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনে সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন এসএম বখতিয়ার-উল ইসলাম। তিনি বলেন, যেসব বাংলাদেশি পরিবার নিয়ে আছেন তারা বেশি চিন্তিত।

বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার জন্য বলেছেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

হেল্প লাইন নম্বর ১৩৩৯-এ কল করে সব বিষয়ে জানাতে বলেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এসএইচ-১২/২৫/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)