দিল্লিতে বেছে বেছে মুসলিমদের উপর হামলা হচ্ছে: মার্কিন কমিশন

দুই দিনের সফরের সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠে দিল্লি। টানা কয়েকদিনের সহিংসতায় মারা যান ৩৪জন। তাদের অধিকাংশই মুসলমান। সফরের সময় এনআরসি, নাগরিক আইন সংশোধনীকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। দিল্লি থেকে দেশে ফিরতেই দিল্লির হিংসা নিয়ে বেসুরো আমেরিকা! আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশনের দাবি, ‘দিল্লিতে যে হিংসা চলছে তাতে আক্রান্ত হচ্ছে শুধু মুসলিমরাই! অথচ, আশ্চর্যজনকভাবে পুরো ঘটনায় নীরব প্রশাসন।’

রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন কমিশনটি। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহলে প্যাঁচে পড়ে যেতে পারে ভারত। জটিলতা কাটাতে তড়িঘড়ি আসরে নেমেছে বিদেশ মন্ত্রণালয়। নয়াদিল্লির তরফে মার্কিন কমিশনটির এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশনটির অভিযোগ, দিল্লিতে বেছে বেছে মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। এই নৃশংস হিংসা থেকে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ভারত সরকার। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি।

USCIRF-এর প্রধান টনি পার্কিনস একটি বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, “আমরা দেখেছি দিল্লির হিংসায় বেছে বেছে মুসলিমদের আক্রমণ করা হচ্ছে। ওদের বাড়ি, দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের প্রাথমিক দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি হল, দেশের প্রত্যেক নাগরিককে ধর্মবিশ্বাস নির্বিশেষে নিরাপত্তা দেওয়া।”

ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে পারকিনস বলেন, “আমরা ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা উন্মক্ত জনতার হাত থেকে মুসলিমদের বাঁচান।”

মার্কিন কমিশনের এই বিবৃতির পরই নড়েচড়ে বসে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ এক কুমার টুইটে বলেছেন, “USCIRF-এর অভিযোগ একেবারেই সত্যি নয়। এটি একটি একপেশে এবং বিভ্রান্তমূলক বিবৃতি। এই বিবৃতিটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। সরকার হিংসা রুখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলি হিংসা এড়িয়ে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়েছেন। শান্তি ফেরানোর আরজি জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা উচিত নয়।”

এসএইচ-২২/২৭/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)