স্পেনে করোনা রোগীদের ১০ শতাংশই চিকিৎসক
মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে স্পেনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইউরোপের দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৭৩৮ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩৪ জন যা পেছনে ফেলেছে চীনকে।
স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার স্পেনের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২০ গুণ। সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মাদ্রিদ। ব্যাপক ঝুঁকিতে আছে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ১০ শতাংশই স্বাস্থ্যকর্মী।
গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ফেরনান্দো সাইমন জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৭৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। যে কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগী জায়গা দিতেও হিমশিত খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
মাদ্রিদের হাসপাতালগুলোতে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আইসিইউতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। সরকার সব বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নিজ অধীনে নিয়েছে।
ইতোমধ্যে স্পেনের সবচেয়ে বড় সম্মেলনকেন্দ্র ‘ফেরিয়া দে মাদ্রিদে’ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অস্থায়ী হাসপাতাল করে করোনা ভাইরাস রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। দেশটিতে স্বাস্থ্যকর্মী সঙ্কটের ফলে সরকার মেডিকেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী এমনকি অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের নিয়োগ দিচ্ছে।
অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হলেও করোনা ভাইরাসের দাপটে ভেঙে পড়েছে দেশটি। অর্থনৈতিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। পর্যটকবান্ধব দেশ হলেও এখন চারদিক ফাঁকা। সুপার শপ ও ফার্মেসি ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনো কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এসএইচ-১৫/২৬/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)