লকডাউন করোনা মহামারি আটকাতে পারবে না

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে চার লাখেরও বেশি মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮০৮ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

মরণঘাতী এই ভাইরাসটি উৎপত্তিস্থল চীন ছাড়াও বিশ্বের মোট ১৯৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে ইতালি ও স্পেনের শাসন ব্যবস্থা। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশ লকডাউন করা হয়েছে। মানুষও স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি থাকছেন।

তবে করোনা ভাইরাস রুখতে শুধু লকডাউন উপযুক্ত পন্থা নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বুধবার এমনই উদ্বেগের কথা বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির মহাসচিব টেডরোজ আধানম গেবিয়াসেস বলছেন, শুধুমাত্র লকডাউনের মাধ্যমে এই মহামারি প্রতিরোধ করা যাবে না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে আমাদের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে করোনা সংক্রান্ত দৈনিক যে বিবৃতি দেওয়া হয়, তাতে গেবিয়াসেস বলছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে অনেক দেশই লকডাউনের পথে হাঁটছে। কিন্তু শুধু এই পদ্ধতি মহামারি আটকাতে পারবে না। বিশ্বের সব দেশকে আহ্বান করছি, আমরা আরেকটা সুযোগ পেয়েছি। এই সুযোগে ভাইরাসকে আক্রমণ করুন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা বলেন, মানুষকে ঘরে বসে থাকতে বলা, এবং জনসাধারণের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে আমরা কিছুটা বাড়তি সময় পেয়েছি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ খানিকটা কমানো গেছে। এখন আক্রমণাত্মকভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের খুঁজে বার করতে হবে। তাঁদের আইসোলেট করতে হবে এবং চিকিৎসা করতে হবে। এটা যে শুধু আমাদের সামাজিক এবং আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচাবে তাই নয়, একইসঙ্গে মহামারি আটকানোরও এটাই শ্রেষ্ঠ পন্থা।

এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

এসএইচ-২১/২৬/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)