শত্রুতা ভুলে পাকিস্তানি কিশোরের জন্য সীমান্ত খুলে দিল ভারত

জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে প্রায় সময়ই সীমান্তে গোলাবর্ষণ হয়েছে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে। দুই দেশের এত শত্রুতার মাঝেও এবার জয় হল মানবিকতার।

১২ বছরের পাকিস্তানি কিশোরের জন্য সীমান্ত খুলে দিল ভারত। এদেশ থেকে হার্ট সার্জারি করে দেশে ফিরল পাকিস্তানের সাবি সিরাজ। তবে গোটা ব্যাপারটা এত সহজে হত না দুই দেশের দু’জন সাংবাদিক সিরাজের পরিবারকে সাহায্য না করতেন!

দেশে ফেরার আগে অবশ্য সাবিরের বাবা বলে গেলেন, ভারতের এই সাহায্য আমি কোনো দিন ভুলব না। ভারত আমার হৃদয়ে থাকবে।
গত মাসেই দিল্লির নয়ডার এক হাসপাতালে হার্ট সার্জারি করাতে এসেছিলেন সাবি ও তার মা-বাবা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা সাবির অস্ত্রোপচার হয়। তার পর থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। ১৮ মার্চ ছুটি পায় সাবি।

এরপরই তারা আটারি বর্ডার পৌঁছান দেশে ফেরার জন্য। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরই গোল বাঁধে। ভারতের ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের বারবার অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। সাবি ও তার বাবা-মাকে পাকিস্তান ফেরত যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছিল না ভারতের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এরপর সাবির বাবা কোনো ভাবে পাকিস্তানের এক সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা ঘটনা জানান। সেই পাকিস্তানি সাংবাদিক আবার অমৃতসরের একজন সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্য প্রার্থনা করেন।

দুই দেশের দু’জন সাংবাদিক নিজের দেশের সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সাহায্য চান। এরপর পরিস্থিতি বিচার করে ১২ বছরের সাবির জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তিনজন পাকিস্তানির জন্য স্পেশাল পাস তৈরি করা হয়। এর মাঝে সাবির ও তার বাবা-মাকে অমৃতসরে নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখেন অমৃতসরের সাংবাদিক রবিন্দর সিং। যাওয়ার আগে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জাহির করে যায় সাবি ও তাঁর পরিবার। সাবিরের বাবা বলে যান, ভারত কাউকে ফেরায় না। আমি ভারতের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।

এসএইচ-২০/২৮/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)