বাংলাদেশের জন্য সুখবর দিলেন ইতালির চিকিৎসক

বিশ্বে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। থরে থরে সাজানো লাশ। হাসপাতালগুলোর ভয়াবহ অবস্থা। অথচ স্বজনরা কেউ ভাইরাসে আক্রান্তের কাছে যেতে পারছেন না।প্রাণঘাতী করোনায় যখন বিশ্ব স্থবির ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের জন্য কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছেন ইতালির এক চিকিৎসক।

ইতালির ইউনিউভার্সিটি অব বলোনিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব মেডিকেল অ্যান্ড সার্জিকেল সায়েন্সের প্রফেসর ড. মারিনা টাডোলিনি বলেন, গ্রীষ্মকালীন দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থা হয়তো ইতালি বা ইউরোপের মতো ভয়াবহ হবে না। বাংলাদেশে গরমের কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কম হবে বলে মনে করেন তিনি।

ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি লেখক মাহমুদ মনির সঙ্গে কথা হয় ড. মারিনার সঙ্গে। তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেন।

১০-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ ভাইরাস তুলনামূলক বেশি ছড়ায় বলে মনে করেন ড. মারিনা।

তিনি বলেন, আর তরুণপ্রজন্মের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা যেমন কম থাকবে তেমনি কম থাকবে মৃত্যুর হারও। আর কোনো রকমের লক্ষণ ছাড়াই করোনা শরীরে থাকতে পারে দিনের পর দিন। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে ড. মারিনা এমনটা দেখেছেন।

পিপিইর বিষয়ে তিনি বলেন, ১ মিটারের বেশি দূরত্বে থাকলে পিপিই ছাড়াই আক্রান্ত রোগীর সিম্পটমেটিক চিকিৎসা সম্ভব।

তরুণ রোগীদের জন্য হয়তো কোনো প্রকার ওষুধেরও দরকার নেই। প্রয়োজনে এজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা যেতে পারে। করোনা মোকাবিলায় যথারীতি শারীরিক যোগাযোগ অবশ্যই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন ড. মারিনা।

ঘরের বাইরে থেকে কোনো জিনিস ধরলেই, যেমন বাজারসদাই ইত্যাদি ধরার পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে খুব ভালোভাবে। এমনকি কাঁচা শাকসবজি-ফলমূলও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে বলেছেন তিনি।

বাংলাদেশের জন্য এটি মোটামুটি একটা সুখবরই। বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যা ৪৯ জন, মারা গেছেন ৫ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন।

প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইতালি। দেশটিতে মৃত্যু বাড়ছে লাফিয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ৮১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৫৯১ জনের। এরমধ্যে রয়েছেন ৬১ জন চিকিৎসকও।সোমবার এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।ইতালিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ডক্টরসের বরাত দিয়ে সিএনএন জানাচ্ছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ৬১ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৪১ জনই লম্বার্দি অঞ্চলের।

অপরদিকে ইতালির জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট বলছে, দেশটিতে মোট ৮ হাজার ৯৫৬ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।

এসএইচ-২০/৩১/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)