করোনা ইস্যুতে চীনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে জাতিসংঘে আবেদন

মহামারি করোনাভাইরাসে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। ইউরোপের মতো এখন ভয়াবহ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের উহান হলেও বর্তমানে সেখানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে দাবি করেছে দেশটি। তবে এরই মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে এ ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে কয়েকটি দেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি দায়ি করেছে চীনকে।

এই ভাইরাসের সংক্রমণ চীনের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করা হচ্ছে। এ কারণে চীনের শাস্তির আবেদন করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে আবেদন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ সংসদ (আইসিজি) নামের লন্ডনের একটি সংগঠন।

জানা গেছে, বিশ্বের আইনজীবীরা এই সংগঠনটির সদস্য।

আইসিজি-র দাবি, করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য চীনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। কারণ ওই দেশটি মানবতার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে।

আইসিজি-র সভাপতি আদিশ আগরওয়াল বলছেন, এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চীন সরকারের অনিহার জন্য বিশ্বব্যপী মন্দার সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার কোটি ডলারের লোকসান হচ্ছে। চীনের জন্যই ভারতসহ গোটা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ চাকরি খোয়াচ্ছে।

আগরওয়ালের মতে, এই ভাইরাস চীনের সব প্রদেশে ছড়ায়নি অথচ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা কীভাবে হলো, সেই রহস্যের এখনও সমাধান হয়নি।

এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ সংসদ জানিয়েছে, যে করোনাভাইরাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেটি মূলত চীনের ষড়যন্ত্রের ফল। চীন নিজেকে বিশ্বে সুপারপাওয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই জৈব মারণাস্ত্রের সাহায্য নিয়েছে। চীন সরকারের এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের অনিচ্ছা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক না করার জেরেই ভাইরাসটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

আদিশ আগরওয়ালের অভিযোগ, চীন যে শুধু ভাইরাস ছড়িয়েছে তাই নয়, সেই সঙ্গে জাতিসংঘের গাইডলাইনও ভঙ্গ করেছে।

আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ সংসদ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছে, তাঁরা যেন চীনকে এর জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয় এবং মোটা অংকের জরিমানা করে।

প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১২ লাখ ২ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৬৪ হাজার মানুষ। চীনের উহান থেকে উৎপত্তি করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও অঞ্চলে।

করোনার বিষাক্ত ছোবল বসিয়েছে বাংলাদেশেও। এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যায় কম হলেও আশঙ্কার কথা হচ্ছে মৃত্যুর হারে ইতালির পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

এসএইচ-১২/০৫/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)