৩০ শতাংশ বেতন কমল ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ সাংসদের

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সব সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বেতন ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। সোমবার (৬ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকার একটি অর্ডিন্যান্স এনে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে। সংসদের অধিবেশন শুরু হলেই এ সংক্রান্ত আইন আনা হবে।

সোমবার মন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে একটি জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকেই ঠিক হয় আগামি এক বছরের জন্য সাংসদরা ৩০ শতাংশ বেতন কম নেবেন। সঙ্গে সঙ্গে অর্ডিন্যান্স আনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি সই করলেই এই অর্ডিন্যান্সটি কার্যকর হয়ে যাবে।

১ এপ্রিল থেকেই এই অর্ডিন্যান্সটি কার্যকর করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, আগামি ২ বছর সাংসদদের এলাকা উন্নয়নের জন্য আলাদা করে কোনো টাকা দেওয়া হবে না। অর্থাত্‍, আগামি ২ বছরের জন্য বন্ধ হচ্ছে এমপিল্যাডও। পেনশন এবং ভাতাও একইভাবে ৩০ শতাংশ কমানো হবে। এই টাকা দেশ গঠনের কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।

এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, এটা সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব। একভাবে দেখতে গেলে সাংসদরা এটা ত্যাগ করছেন।

তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যের রাজ্যপাল স্বেচ্ছায় নিজেদের বেতন থেকে সরকারি স্থায়ী তহবিলে দান করছেন। তাদের বেতন প্রক্রিয়া যেহেতু অন্যরকম, তাই তারা এই অর্ডিন্যান্সের আওতায় আসেন না। তবু সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে স্বেচ্ছায় তারা দান করতে প্রস্তুত।

এসএইচ-২১/০৬/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)