সরকার বিরোধী স্লোগানে সরব থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংক। শনিবার দেশটির সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন আর প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার অপসারণের দাবিতে রাস্তায় নামে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। এসময় ব্যাংককের গণতান্ত্রিক স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরের সামনে জড়ো হন তারা। নেচে গেয়ে সরকারকে ব্যঙ্গ করে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারা শহরে ৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এক বিক্ষোভকারী জানান, আমরা নিজেদের এবং আগামী প্রজন্মের জন্য এই দাবি তুলেছি। দেশের মানুষের উন্নতির জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। তারা যেন জনগণের ক্ষমতাকে তুচ্ছ করে না দেখে।
সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ছিল পেরুর রাজধানী লিমাও। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল মেরিনোর বিরোধিতা করে এদিন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এবং পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অবস্থান নেন হাজার হাজার আন্দোলনকারী। এসময় সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দেন তারা। বিক্ষোভকারীদের একটি দল পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করে পুলিশ।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, যারা ম্যানুয়েল মেরিনোকে প্রেসিডেন্ট ভাবতে বলছে, আমরা তার বিরোধিতা করছি। তিনি মোটেও আমাদের দেশের প্রেসিডেন্ট নন।
আমরা সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা বা মেরিনো কারোরই পক্ষে না। দেশের মানুষ তাদের চায় না।
এদিকে, পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে করোনা প্রতিরোধে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছেন কয়েকশ’ রেস্তোরা মালিক ও কর্মচারী। সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় রেস্তোরা, দোকানপাটসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় দেশটির সরকার। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।
এসএইচ-১৬/১৫/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)