‘দিল্লি চলো’ আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তবে কৃষকরা তাদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের দাবিতে এখনো অনড়।
প্রশ্নটা উঠেছিল বেশ কয়েক মাস আগে। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও কেন কৃষি বিল সংসদে পাস করা হলো, কিংবা এই বিল পাস করতে আদৌ কী কোনও কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছিল? অথবা কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে সরকার কোনো কৃষক সংগঠন এমনকি শাসক বিজেপির কৃষি মোর্চার সঙ্গে বৈঠক করেছিল?
এত সব প্রশ্নের উত্তর নেই বা দিতে পারেনি মোদি সরকার। এমনকি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তুমারও। তাই দু’মাস আগেই ৫টি রাজ্যের কৃষকরা ‘‘দিল্লি চলো” আন্দোলনের ডাক দেন। কৃষকদের দাবি, তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের যা করপোরেট সংস্থা ইচ্ছে করলে মজুত কিংবা বিপণন করতে পারবে। এর ফলে কৃষকরা ‘‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য” থেকে বঞ্চিত হবেন, তাই তাদের ‘‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য” সরকার নিশ্চিত করুক লিখিতভাবে।
সরকারের কাছে এই দাবি জানাতেই দিল্লি চলো অভিযানে শমিল হয়েছেন লাখ লাখ কৃষক; আর তাদেরই ওপরই শুক্রবার ব্যাপক লাঠিচার্জের পাশাপাশি জলকামান নিক্ষেপ করেন নিরাপত্তা সদস্যরা। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তুমার টুইট করে কৃষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। কৃষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হন।
ভারতের চাল-ডাল-গম-আলু সহ বেশকিছু কৃষিপণ্য এত দিন কোনও সংস্থা কিনে মজুত করতে পারত না। বিশেষ প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বিবেচ্য হতো। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের লোকসভায় এই বিশেষ প্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা থেকে এগুলো বাদ দেওয়া হয়।
এর ফলে ইচ্ছে করলে কোনও করপোরেট সংস্থা চাল-ডাল-গম-আলু কিনে মজুত করতে পারবে। এর বিরোধিতায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয় পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ ৬টি রাজ্যের কৃষকরা।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানোর পরও দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এসএইচ-১৫/২৮/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)