ইন্দোনেশিয়ার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

ইন্দোনেশিয়ার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী জুলিয়ারি বাতুবারার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় সহায়তা দিতে লোকজনের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

করোনা মহামারির কারণে ইন্দোনেশিয়ার বহু মানুষ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খাদ্যের প্রয়োজন এমন লোকজনের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে বেশ কয়েকজন ঠিকাদারের কাছ থেকে নগদ অর্থ ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন বলে জুলিয়ারির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা শনিবার এক অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু স্যুটকেস এবং অন্যান্য জায়গা থেকে প্রায় সাড়ে ১৪ বিলিয়ন রুপিয়াহ উদ্ধার করেছেন। অভিযানের সময় সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি নির্মূল কমিশনের প্রধান ফিরলি বাহুরি বলেন, ৭টি স্যুটকেস, তিনটি ব্যাকপ্যাকসহ বেশ কিছু খাম উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যেই টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা সামগ্রী বিক্রি করা দুটি কোম্পানি থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জুলিয়ারির বিরুদ্ধে। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তবে তাকে ২০ বছরের মতো কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে এবং একই সঙ্গে এক বিলিয়ন রুপিয়াহ জরিমানা গুনতে হবে।

ফিরলি বাহুরি জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া দু’জন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বাকি দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি। প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি বার বার মন্ত্রীদের দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করেছেন। যারা এ ধরনের অপরাধে যুক্ত থাকবেন তাদের তিনি কোনোভাবেই ছাড় দেবেন না বলেও উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, এগুলো জনগণের টাকা। কোভিড-১৯ ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা দিতে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এই অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা।

ইন্দোনেশিয়া পর্যটন নির্ভর একটি দেশ। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর দেশটিতে পর্যটন খাতে ধস নেমে এসেছে। বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা দিতে খাদ্য প্যাকেজের মতো বেশ কিছু প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের আশঙ্কা করোনা মহামারির কারণে ৩৫ লাখ মানুষ হয়তো কর্মহীন হয়ে পড়তে পারে। গত মাস থেকেই দেশটিতে ভয়াবহ আর্থিক মন্দা শুরু হয়েছে যা ২২ বছরের মধ্যে প্রথম।

এসএইচ-১৬/০৭/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)