কাবুলে নারীদের জন্য রয়েছে কেবল টয়লেট পরিষ্কারের কাজ

আফগানিস্তানের কাবুল সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, নারীদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। তারা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করতে পারবে না এমন নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

রোববার কাবুলের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হামদুল্লাহ নোমানি ঘোষণা দিয়েছেন, নারীরা সরকারের কাজ থেকে বিরত থাকবে। তারা কেবল কাবুল সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ‘নারী টয়লেট’ পরিষ্কার করতে পারবে।

এই আদেশে হাজার হাজার নারী চাকরিচ্যুত হয়েছে। নোমানি বলেন, শহরের তিন হাজার কর্মীর মধ্যে ২৭ শতাংশই নারী ছিলেন।

তিনি বলেন, এখন থেকে নারী চাকরিজীবীদের বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। শুরুতে তাদের নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সরকার মনে করছে, কিছু সময় তাদের কাজ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত জারি থাকবে।

গত মাসে কাবুল দখলের পর থেকে নারীদের নিয়ে শঙ্কা দেশটিতে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কিন্তু তারা বরাবরই বলে এসেছিল, তারা নারীদের অধিকার নিশ্চিত করবে। কিন্তু সম্প্রতি তাদের নীতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, গত ২০ বছর আফগান নারীরা যতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করছে তা শেষ হতে চলেছে।

তালেবান সরকারের কঠোর নীতির ফলে নারীদের কর্মে ফেরা, স্কুল-কলেজে ফেরার পথ দিনে দিনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানি শাসনামলে নারীদের স্কুলে যাওয়া, চাকরি করা নিষিদ্ধ ছিল। তারা একা ঘর থেকে বের হতে পারত না। এমনকি তাদের পুরো শরীর আবৃত করার নিয়ম ছিল।

এদিকে নিজেদের অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নারীরা। তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান তারা।

বিক্ষোভকারীর মধ্যে একজন বলেন, ইসলাম নারীদের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু তারা ২০ বছর আগের মতো আবারও আমাদের পিছিয়ে দিতে চায়। আমরা চাকরি করতে চাই।

এদিকে নারীরা যখন নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করছে তখনই দেশটির নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। পরিবর্তন করা হয়েছে নামও।

এসএইচ-১৮/২০/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)