খুলে দেওয়া হবে মালয়েশিয়ার সব পর্যটন কেন্দ্র

মহামারি করোনা বিপর্যয়ের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ টিকা দেওয়া শেষ হলে খুলে দেওয়া হবে মালয়েশিয়ার সব পর্যটন কেন্দ্র ও আন্তঃরাজ্য ভ্রমণ। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পর্যটন স্পট সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব বহন করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশটিতে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ টিকা দেওয়া শেষ হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকরা যেতে পারবেন দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। অন্যদিকে পর্যটন কেন্দ্র খোলার সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা। তবে পর্যটকদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এখানকার হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, সরকারি-বেসরকারি পর্যটন স্পটগুলোর সঙ্গে জড়িত মানুষের মধ্যে ফিরতে শুরু করেছে চাঞ্চল্য। দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য থাকায় মারাত্মক মন্দা দেখা দেয় দেশটির পর্যটন ব্যবসায়। অন্যদিকে পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের হোটেল-মোটেলগুলোতে।

পর্যটকদের আগমন ঘিরে নিরাপদ ভ্রমণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে পর্যটন শিল্প দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এখন থেকেই নানা ধরনের অফার দিচ্ছেন পর্যটক ব্যবসায়ীরা।

এ ছাড়া করোনার কারণে দীর্ঘদিন মানুষের পদচারণা না থাকায় মালয়েশিয়ার প্রকৃতি তার আপন রূপে সেজেছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ফুটেছে বাহারি রঙের ফুল। প্রকৃতির সেই অপরূপ দৃশ্য দেখতে ভ্রমণের জন্য উৎসাহিত হচ্ছে পর্যটকরা। তাদের বরণ করে নিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর শেষ মুহূর্তে চলছে পরিষ্কার-পরিছন্নতার কাজ।

ল্যাংকাউই, ক্যামেরন হাইল্যান্ডস, গেন্টিং হাইল্যান্ডস, টিওমান দ্বীপ, পাংকোর দ্বীপ, পান্তাই কোক সৈকত, মাউণ্ট কিনাবালু, রেডাং দ্বীপ, সানওয়ে লেগুন থিম পার্ক, পারহেনতিয়ান দ্বীপপুঞ্জসহ অন্যান্য দ্বীপ এবং পর্বতমালাগুলোয় সারা বছরই পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকত। কিন্তু গত বছর থেকে করোনার প্রাদুর্ভাবের জন্য সব পর্যটন খাত বন্ধ থাকলেও পর্যটন ব্যবসায়ীরা আশা প্রকাশ করছেন দীর্ঘদিন পর তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে।

দেশটিতে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মধ্যে এই পর্যন্ত প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৯৩ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ এবং পূর্ণ ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পন্ন করেছেন ৮০ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ।

এদিকে দেশটিতে বুধবার পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯৮৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৮৭ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৪ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২৪ হাজার ৫৬৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৮৫ জন।

এসএইচ-০৪/২৩/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)