অন্তরঙ্গ মুহূর্তে সম্মতি ছাড়া কনডম অপসারণ অবৈধ

যৌনকর্মী হিসেবে কাজ শুরুর কয়েকমাসের মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ম্যাক্সিন ডোগান। তিনি জানান, একজন খদ্দেরের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। ওই সময় খদ্দের তাকে না জানিয়েই কনডম খুলে ফেলেন। ম্যাক্সিন বিষয়টি বুঝতে পেরেই দৌড়ে বাথরুমে চলে যান। তবে, যখন তিনি ঘরে ফিরে আসেন, ততক্ষণে সেই খদ্দের ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

ম্যাক্সিন ডোগানের তখন মাত্র ২০ বছর বয়স। যৌনবাহিত সংক্রমণ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জানার জন্য তাকে একগাদা পরীক্ষা করাতে বলেন চিকিৎসক। পরীক্ষায় দেখা যায়- সবগুলো ফল নেগেটিভ রয়েছে। এরপর ছয় সপ্তাহ গেলে ডোগান গর্ভপাত করেন। ওই সময় গর্ভপাত করতে তার ৩০০ ডলার খরচ হয়। তারপর মাসখানেক ঘরে বসে থাকতে হয়েছে তাকে।

খদ্দের তার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, ডোগান মনে করতেন- যৌনকর্মীর সঙ্গে এ ধরনের আচরণ অবৈধ নয়। কিন্তু বর্তমানে আইন হয়েছে। ডোগান বলেন, এ ধরনের আচরণের কোনো উপায় নেই এখন। ক্যালিফোর্নিয়ায় যৌনকর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের সময় তাদের সম্মতি ছাড়া কনডম অপসারণকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলছে, গত বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। যেখানে যৌনকর্মীর সম্মতি ছাড়া কনডম অপসারণকে অবৈধ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নতুন এই আইনকে ক্যালেফোর্নিয়ায় যৌনতার সংজ্ঞার ব্যাখ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। ফলে, ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য, যেখানে যৌনকর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের সময় তার মৌখিক সম্মতি ছাড়া কনডমের অপসারণকে ‘অবৈধ’ বলা হলো।

এই বিলটি উপস্থাপন করেছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার আইনপ্রণেতা ক্রিশ্চিনা গার্সিয়া। তিনি বলেন, এই বিলের মাধ্য দিয়ে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে, শারীরিক সম্পর্কের সময় প্রতারণা করে কনডম খুলে ফেলা এখন আর কেবল অনৈতিক নয়, বরং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই আইনকে সময়োপযোগী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এসএইচ-৩৬/১২/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)