পর্নো ভিডিও বিতর্কে পাকিস্তানের নারী বিধায়ক

পুরো নাম সানিয়া আশিক জুবিন। ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। আর সম্প্রতি সারা বিশ্ব তার সম্পর্কে জেনেছে, কারণ তিনি সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে- তার ছবি এবং অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে তা ইন্টারনেটে ভাইরাল করা হয়েছে। ফলে, নতুন করে খবরের শিরোনামে উঠেছেন তিনি।

এই ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশের কাছে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অভিযোগ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে তদন্তে এক জন গ্রেপ্তারও হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

ভাইরাল ভিডিওতে সানিয়ার সঙ্গে পর্নোগ্রাফিতে গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল। ভিডিও নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে পাকিস্তান। সানিয়াকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। প্রকাশ্যে এসে সানিয়া দাবি করেন, ভিডিওর ওই নারী তিনি নন। তার মতো দেখতে অন্য কেউ।

পাকিস্তানে এই বিধায়কের দাবি সত্যি নাকি ভিডিও সত্যি, তা নিয়ে পাকিস্তানে বিস্তর চর্চা চলছে। কিন্তু সে সবের ঊর্ধ্বে নারীর রূপ নিয়েও মেতে উঠেছে নেটমাধ্যম।

জানা গেছে, সানিয়ার জন্ম লাহৌরে। সেখানেই বেড়ে ওঠা তার। ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

পড়াশোনার পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখেন ২০১৮ সালে। সে বছর পাকিস্তানের নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন এবং জয়ী হয়েছিলেন।

মাত্র ২৫ বছর বয়সে পঞ্জাব বিধানসভার কনিষ্ঠতম সদস্য হয়েও সে বার শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের ঘনিষ্ঠ সানিয়া।

আর সানিয়ার সবচেয়ে কাছের মানুষ কে? তার বাবা। ২০১৯ সালে বাবার মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। এখনও নিজের ইনস্টাগ্রামে বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো অনুগামীদের সঙ্গে ভাগ করে চলেছেন তিনি।

এসএইচ-২২/২২/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)