বিদেশি পর্যটকদের থেকে ফি নেবে থাইল্যান্ড

বিদেশি পর্যটকদের কাছে থেকে নয় ডলার বা প্রায় ৮০০ টাকা ফি নেওয়ার পরিকল্পনা করছে থাইল্যান্ড। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এ নিয়ম কার্যকর হতে পারে।

জানা গেছে, স্থানীয় পর্যটনখাতের উন্নয়ন ও দুর্ঘটনা বিমার অর্থ যোগাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বুধবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষের গভর্নর ইউথাসাক সুপাসর্ন বলেন, ফির কিছু অংশ পর্যটকদের চিকিৎসা বা যত্ন নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে। পর্যটকদের জন্য কোনো ইন্সুরেন্স ব্যবস্থা নেই। ফলে তাদের যত্ন নেওয়াটা বোঝায় পরিণত হয়েছে। এ ফি পর্যটকদের জন্য ও স্থানীয় অবকাঠামোর উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে।

থাইল্যান্ডের পর্যটন কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুথিপং ফুয়েনফিফপ বলেন, প্রবেশ ফি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকলেও করোনার কারণে এর বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়েছে। অনেকে দেশেই পর্যটকদের জন্য একই ধরনের ফি প্রচলিত আছে। এতে আগের তুলনায় বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

সরকারের মুখপাত্র থানাকর্ন ওয়াংবুনকংচানা বলেন, ইন্সুরেন্সের আওতায় দুর্ঘটনায় যদি কোনো পর্যটকের মৃত্যু হয় তাহলে ১০ লাখ বাথ (থাই মুদ্রা) ও হাসপাতালে ভর্তি বাবদ পাঁচ লাখ বাথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ বছর পর্যটনখাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন বাথ। যার মধ্যে বিদেশি পর্যটকদের থেকে আসবে ৮০০ বিলিয়ন বাথ।

থাইল্যান্ড হচ্ছে এশিয়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করেন। কিন্তু করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই সেখানে পর্যটনখাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত বছর দেশটিতে দুই লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছিল। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল চার কোটি।

সম্প্রতি দেশটি অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করলেও ফের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন।

এসএইচ-২০/১২/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)