সুতায় ঝুলছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসনের ভাগ্য

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারেভেটিভ পার্টির এমপিরা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ দাবি করতে শুরু করেছেন। এর আগেই বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিরা জনসনের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। ঘরে-বাইরে পদত্যাগের দাবি ওঠায় এখন সুতায় ঝুলছে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্ব।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যে জমায়েত, পার্টি সবকিছুর উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জনসনের সরকার। ওই সময় গার্ডেন পার্টিতে যোগ দিতে ইমেলের মাধ্যমে অতিথিদের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোমবার সেই ইমেইল ফাঁস হয়ে যায়।

এতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন জনসন। বিরোধী দল লেবার পার্টি তার পদত্যাগ দাবি করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জনসন এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আমলা সুয়ে গ্রেকে তদন্তের ভার দিয়েছেন। একই সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে লন্ডন পুলিশ।

বুধবার পার্লামেন্টে নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন জনসন। তবে একে যথেষ্ট মনে করছেন না সরকারি দলের অনেক এমপি।

স্কটিশ টোরি নেতা ডগলাস রস, এমপি উইলিয়াম র‌্যাগ, ক্যারোলিন নোকস ও রজার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জনসনকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ডগলাস রস জানিয়েছেন, বুধবার কমন্সে ক্ষমা চাওয়ার পর জনসনের সঙ্গে তার ‘কঠোর কথাবার্তা’ হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্ধারণে নির্বাচনের আয়োজক ১৯২২ কমিটির কাছে তিনি চিঠি লিখবেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর ওপর তার অনাস্থা নিবন্ধনের অনুরোধ জানাবেন।

জনসনের সমালোচনা করে ডগলাস বলেন, ‘তিনি প্রধানমন্ত্রী। তার সরকারই এই আইনগুলো জারি করেছিল এবং তার পদক্ষেপের জন্য তাকে দায় নিতে হবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাবেক মন্ত্রী বলেছেন, ‘জনসন যা করেছেন তার জন্য ক্ষমা চাননি, বরং ভবিষ্যতে আর হবে না সেজন্য ক্ষমা চেয়েছেন।’

ডগলাসের মতো অনেক এমপিই জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে ১৯২২ কমিটির কাছে চিঠি লেখার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত ২৫টি চিঠি কমিটির কাছে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন সাবেক এক মন্ত্রী। অবশ্য দলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য অন্তত ৫৪ ভোট বা চিঠির প্রয়োজন হয়। এখন দেখার বিষয় জনসনকে হটাতে ভোটের সংখ্যা ২৫ থেকে ৫৪তে কখন পৌঁছায় কিংবা আদতে পৌঁছায় কিনা।

এসএইচ-১০/১৩/২২ (আন্তর্জাতিক)