টিকা না নিলেও ওমিক্রনে অসুস্থতার তীব্রতা কম!

টিকা না নিয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে তাতে মারাত্মক অসুস্থতার প্রবণতা কম বলে নতুন এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে।

শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এখনো টিকা নেননি, কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, চিকিৎসার জন্য তাদের কম হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখা গেছে। এছাড়া এতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি না।

মহামারির আগের ধরনগুলোর সঙ্গে তুলনা করে গবেষকেরা এমন সিদ্ধান্তে এসেছেন। ওয়েস্টার্ন কেপ অঞ্চলের সংক্রামক রোগ বিষয়ক জাতীয় ইনস্টিটিউট (এনআইসিডি) এই গবেষণা চালিয়েছে।

গবেষণায় করোনার প্রথম তিনটি ঢেউয়ের ১১ হাজার ৬০০ রোগীর সঙ্গে নভেম্বর থেকে ওমিক্রন আক্রান্ত পাঁচ হাজার ১০০ জনের তুলনা করা হয়েছে। আগের ধরনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে বৈশ্বিকভাবে ওমিক্রনে আক্রান্তদের রোগের তীব্রতা কম। এছাড়া আনুপাতিকহারে মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তিও বেশি না।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে এমন একটি জিনের খোঁজ পেয়েছেন পোল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এতে যেসব লোক করোনায় বেশি ঝুঁকিতে তাদের শনাক্ত করা সহজ হবে।

মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় ইউরোপে টিকা নিতে অনাগ্রহের কারণে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এই গবেষণার মাধ্যমে তাদের টিকা নিতে উৎসাহিত করা যাবে।

গবেষকেরা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের শনাক্ত করা সম্ভব হলে, তাদের টিকা দেওয়ার প্রতি জোর দেওয়া সহজ হবে। এছাড়া তারা যদি সংক্রমিত হন, তবে নিবিড় পরিচর্যা ও চিকিৎসায়ও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

পোলিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাডাম নেইডজেলস্কি বলেন, দেড় বছর গবেষণার পর তারা একটি জিন শনাক্ত করেছেন। করোনায় মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার জন্য এই জিনকে দায়ী করা হচ্ছে। তার মতে, ভবিষ্যতে করোনায় মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীদের আমরা আগেই শনাক্ত করতে সক্ষম হবো।

বিয়ালিস্টক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাটি করেছেন। বয়স, ওজন ও লিঙ্গ ছাড়াও কীভাবে এক ব্যক্তি কোভিড-১৯ রোগে মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হতে পারেন, তা নির্ধারণে সহায়তা করবে এই জিন।

পোল্যান্ডের ১৪ শতাংশ জনসংখ্যার মধ্যে এই জিন রয়েছে। ইউরোপে ৮ থেকে ৯ শতাংশ ও ভারতে ২৭ শতাংশ লোক এই জিন বহন করছেন। গবেষণা প্রকল্পের অধ্যাপক মারচিন মোনিউজকো এসব তথ্য দিয়েছেন। আরেকটি গবেষণা বলছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ কতটা মারাত্মক হবে, জিনগত অনুঘটকের ওপর নির্ভর করছে।

নভেম্বরে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা বলেন, তারা জিনের একটি সংস্করণ আবিষ্কার করেছেন, যা করোনা থেকে ফুসফুস ব্যর্থতার ঝুঁকিকে দ্বিগুণ করে দিতে পারে।

এসএইচ-২৫/১৪/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)