বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর তেল আবিব

লাস ভেগাস, সিঙ্গাপুর সিটি কিংবা প্যারিস নয়। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ইসরাইলের শহর তেল আবিব। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) -এর এক জরিপে এমনটাই জানা গেছে।

এখন প্রশ্ন হ্চ্ছে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যেই কিভাবে তেল আবিব পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় শীর্ষে চলে আসলো? মূলত মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার ব্যয় দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে মহামারি করোনায় দরিদ্র দেশগুলো আরও দরিদ্রতর হচ্ছে, অন্যদিকে ধনী দেশগুলো আরও ধনী হচ্ছে। এ অবস্থায় ইসরাইলের জীবন মান বাড়ার পাশাপাশি ব্যয়ও বেড়ে চলেছে।

ইআইইউ বিশ্বের ১৭৩টি শহরের মধ্যে পণ্য ও সেবার দাম মার্কিন ডলারে তুলনা করে জীবনযাত্রার ব্যয় সূচক তৈরি করেছে। আর এই র‍্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠতে তেল আবিব পাঁচ ধাপ এগিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে মার্কিন ডলারের তুলনায় ইসরাইলি মুদ্রা শেকেলের অবস্থান তেল আবিবের শীর্ষে উঠে আসতে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়াও দেশটিতে পরিবহন ও মুদি পণ্যের মূল্যও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই জরিপের সব তথ্য সংগ্রহ করা হয় আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে। ওই সময়ে পণ্য ও সেবার মূল্য ছিলো বাড়তি। স্থানীয় মুদ্রায় গড়ে এগুলোর দাম বেড়েছে প্রায় ৩.৫ শতাংশ। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি দ্রুত বাড়ার রেকর্ড। তেল আবিবের পর র‍্যাংকিংয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্যারিস ও সিঙ্গাপুর। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের অবস্থান ষষ্ঠ, আর র‌্যাংকিংয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস নবম অবস্থানে রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে, ফলে এতে ঘাটতি তৈরির পাশাপাশি বেড়েছে পণ্যের মূল্য। এই বছরের সূচকে দ্রব্যমূল্যের ঘাটতির প্রভাব আর পেট্রোলের মূল্য বৃদ্ধির বিশেষ প্রভাব ছিল বলে মনে বরছেন তারা। এক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

তালিকায় সবচেয়ে সস্তা শহর নির্বাচিত হয়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। এর আগে শীর্ষ ব্যয়বহুল শহর হিসেবে এই র‍্যাংকিংয়ে যৌথভাবে প্রথম অবস্থান ছিল প্যারিস, জুরিখ এবং হংকং।

এসএইচ-৩০/২৪/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)