দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা চান ইমরান খান

জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা না হলে সরকারকে কঠিন পরিণতির মুখে পড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান। সরকারের কাছে দ্রুত সাধারণ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান তিনি। বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা না হলে ইসলামাবাদ অভিমুখে ‘জনসমুদ্র’ ছুটবে, যা সরকারের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে। খবর দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

ইসলামাবাদে সমাবেশে যাবার আগে গত শুক্রবার মর্দান রেলস্টেশনে এক জনসভায় দেয়া ভাষণে ইমরান খান এ দাবি করেন। ইমরান বলেন, পাকিস্তানের মানুষ বিদেশ থেকে আমদানি করা নতুন এ সরকার চায় না। এ কারণে আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই। তাই খুব শিগগিরই নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।

আগামী ২০ মের পর যেকোনো সময় এই মার্চের ডাক দেবেন বলে জানান ইমরান খান। পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, তিনি একটি ‘বিপ্লবের’ জন্য জনগণকে ইসলামাবাদে আসার আহ্বান জানিয়েছেন, যার উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তানের ‘প্রকৃত স্বাধীনতা’।

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এখান থেকে আমি দুর্নীতিবাজ–দুর্বৃত্তদের একটি বার্তা দিচ্ছি…অভিযুক্তদের আরও শোনা উচিত, দেশের বিষয়ে তোমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কারা পাকিস্তান শাসন করবে।’

এসময় পিটিআই সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ‘ষড়যন্ত্র’ করেছিল বলে আবার অভিযোগ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বর্তমান সরকারের ‘মীর সাদিক ও মীর জাফররা’ জড়িত ছিলেন।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, যখন তিনি ‘ষড়যন্ত্রের’ বিষয়টি জানতে পারেন, তখন ‘যেসব লোকজন তা ঠেকাতে পারবে’, তাদের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলেছিলাম, এই ষড়যন্ত্র যদি সফল হয়, তাহলে বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজারে ১ ডলারের বিপরীতে ২০০ পাকিস্তানি রুপি গিয়ে ঠেকেছে। পুঁজিবাজারে ধস নেমে আসছে। সবকিছুর দাম বাড়ছে। সংবাদমাধ্যমের উচিত জনগণের কাছে জানতে চাওয়া জিনিসপত্রের দাম কেমন, যেভাবে আমাদের সরকারের সময় সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন করা হতো।’

গত ৯ এপ্রিল ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশজুড়ে একের পর এক সমাবেশ করছেন ইমরান খান। এসব সমাবেশে পিটিআই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ ছিল বলে দাবি করে আসছেন তিনি। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন আদায়ের অঙ্গীকারও করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

এসএইচ-১৪/১৪/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)