মরুর বুকে তৃষ্ণায় এক দল মানুষের মৃত্যু

লিবিয়ার মরুভূমি থেকে ২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তৃষ্ণার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

বুধবার রাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরুভূমির মধ্যদিয়ে ভ্রমণকারী এক ট্রাকচালক মঙ্গলবার মরদেহগুলো দেখতে পান। পরে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১৪ দিন আগে দলটি মরুভূমিতে মারা গেছে।

মরদেহ উদ্ধারের এ ঘটনাস্থলটি কুফরা থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার (১৯৮ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং চাদের সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার (৭৪ মাইল) দূরে অবস্থিত।

লিবিয়ার কম জনবহুল এ অঞ্চলে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা নিয়মিতই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০৪ ফারেনহাইট) ওপরে ওঠে।

২০১১ সালে সামরিক জোট ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর থেকে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। এর পর থেকেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে যুদ্ধ ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা লোকদের অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে দেখা দিয়েছে লিবিয়া।

মূলত উন্নত জীবনের আশায় মরুভূমি ও ভূমধ্যসাগর পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন অভিবাসীরা। কিন্তু সাহারা মরুভূমিসহ বিপজ্জনক এ রুট পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই মারা যায়।

জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থার (আইওএম) তথ্যানুযায়ী, গত বছর মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় পথে অসংখ্য নৌকা দুর্ঘটনা ও জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত দেড় হাজার শরণার্থী ডুবে গেছে।

এসএইচ-০৯/৩০/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)