বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশের হজযাত্রীদের বাড়তি সহায়তা দিচ্ছে সৌদি

একজন মুসলমান সারা জীবন বুকে আশা বেঁধে রাখেন, কবে হজ পালন করতে পারবেন। সৌদি আরবে গিয়ে হজ পালনে যাত্রাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অনেক সময় ঝক্কি পোহাতে হয়। কিন্তু গেল দুই বছর ধরে সৌদি কর্তৃপক্ষ নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছেন, যাতে হজযাত্রীদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়েছে।

বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশের হজযাত্রীদের ভ্রমণে বাড়তি সহায়তা দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। চলতি মৌসুমে হজযাত্রীদের প্রবেশ প্রক্রিয়া সহজ করতে ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তারা। খবর আরব নিউজের।

দেশগুলো হলো—বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও মরোক্কো। এসব দেশের তৃণমূল পর্যায়ে মক্কা রুট টিম কাজ করছে। হজযাত্রীরা যাতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে পারেন এবং তাদের হাতে দরকারি নথিপত্র থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ, জাকাত, কর ও শুল্ক কর্তৃপক্ষ, সৌদি উপাত্ত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্তৃপক্ষ, দোয়োফ আল-রহমান কর্মসূচি ও পাসপোর্ট অধিদফতর এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

হজযাত্রীদের বৈদ্যুতিন (ইলেকট্রনিক) ভিসা ইস্যু করেন মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের কর্মীরা। বিমানবন্দর ডিপারচারে মুসল্লিদের পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও তাদের স্বাস্থ্যতথ্য যাচাই করা হয় এই প্রক্রিয়ার অধীনে।

সৌদি আরবের আবাসন ও পরিবহন প্রস্তুতি অনুসারে হজযাত্রীদের লাগেজের কোডিং ও বাছাই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয় এই প্রকল্পের অধীন। ২০১৯ সালে প্রথম মক্কা হজ ইনিশিয়েটিভ নেয়া হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে আরব নিউজকে ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এই প্রক্রিয়া নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এতে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরবে যাবেন। যদিও করোনা মহামারির কারণে আগের বছরগুলোতে হজ পালনে ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, সারাজীবন ধরে আমি হজ পালনের স্বপ্ন দেখে এসেছি। সৌদি কর্তৃপক্ষ যেভাবে হজের আয়োজন করেছেন, তাতে আমি খুব খুশি।

এসএইচ-১৩/০২/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)