কথা বলছেন সালমান রুশদি

ছুরিকাঘাতের একদিন পর বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদিকে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি কথা বলতেও স্বক্ষম হয়েছেন।

রোববার এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

গত শুক্রবার নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানমঞ্চে কথা বলার সময় সালমান রুশদিকে ছুরিকাঘাত করেন হাদি মাতার নামে এক তরুণ। ওই ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে সালমান রুশদিকে পেনসিলভানিয়ার এরির ইউপিএমসি হ্যামোট সার্জারি সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।

রুশদির হামলাকারী হাদি মাতারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মকাণ্ড দেখে তাঁকে কট্টরপন্থী শিয়া মতাবলম্বী এবং ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক রুশদির লেখা ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর ১৯৮৯ সালে মুসলিম বিশ্বে বিক্ষোভের ঝড় ওঠে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি।

রুশদির মাথার জন্য ২৮ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে ইরান। ২০১৬ সালে পুরস্কারের অংক বাড়িয়ে ৩৪ লাখ ডলার করা হয়।

হত্যার হুমকি পাওয়ার পর থেকে সালমান রুশদি যুক্তরাজ্যে ১০ বছর পুলিশের নিরাপত্তায় বসবাস করেন। ২০০০ সাল থেকে সালমান রুশদি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে শুরু করেন।

এসএইচ-০৮/১৪/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)