লিসবনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ভাষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

পর্তুগালে নাগরিকত্ব অর্জন এবং কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াতে পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষায় আগ্রহ বাড়ছে প্রবাসীদের। আগ্রহের বিষয়টি মাথায় রেখে দেশটির রাজধানী লিসবনে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশি মালিকানাধীন বেশ কিছু ভাষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রবাসীদের পাশাপাশি দেশটিতে গমনেচ্ছুদেরও পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পর্তুগিজ প্রতিষ্ঠান কামুস ইনস্টিটিউট।

পর্তুগালে অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদনের শর্তগুলোর একটি ভাষা শিক্ষা সনদ। তা ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ বা স্থানীয়দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বিকল্প নেই পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষার। অভিবাসীদের ভাষা শিক্ষার এ চাহিদা মাথায় রেখে রাজধানী লিসবনে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশি মালিকানাধীন কয়েকটি পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সেসব প্রতিষ্ঠানে শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিরাই নন, অংশ নিচ্ছেন ভারত, নেপাল, ফিলিপিন্সসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। শনিবার (২৭ আগস্ট) ছিল লিসবনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেগুন্দা ভিদার প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা ছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটির অনেকে। এ সময় শিক্ষার্থীরা পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘যেহেতু আমরা এখানে থাকছি, আমাদের এই ভাষা শিক্ষাটা অনেক জরুরি। বাচ্চার স্কুলের জন্য এবং আমার নিজের জন্যও এই ভাষা জানা প্রয়োজন।’

কম খরচে বাংলাদেশিদের পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা ও সনদ প্রাপ্তি সহজ করতেই এ প্রয়াস বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক।

সেগুন্দা ভিদার পরিচালক কাজী আনিস মাহমুদ বলেন, এই কোর্সের মাধ্যমে অভিবাসীরা পর্তুগিজ ভাষা শিখবে। একসময় তারা এটির ওপর সার্টিফিকেট পাবে। এর মাধ্যমে তারা এখানে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে। এ ছাড়া তারা এই দেশের ব্যাকরণটা শিখতে পারবে।’

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পর্তুগালের কামোইস, ইনস্টিটিউট দা কো-অপেরাসাও ই দা লিঙ্গুয়া পর্তুগাল-এর মধ্যে একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যেখানে পর্তুগিজ প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্তুগিজ ভাষা কোর্স চালু, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র ও উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।

এসএইচ-০৮/২৮/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)