‘হৃৎস্পন্দন বন্ধ’ থাকার পরও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

চিকিৎসা বিজ্ঞানে অলৌকিক ঘটনা ঘটার অনেক ইতিহাস রয়েছে। প্রায়ই শোনা যায় চিকিৎসকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে এসেছেন মুমূর্ষু রোগী।

এবার কানাডায় শোনা গেল এমনই একটি ঘটনা। যেখানে পানিতে ডুবে মরতে বসা ২০ মাস বয়সী এক শিশুকে সৃষ্টিকর্তার অলৌকিকতায় বাঁচাতে সমর্থ হয়েছেন একদল চিকিৎসক ও নার্স।

কানাডিয়ান সংবাদমাধ্যম সিবিসি জানিয়েছে, গত ২৪ জানুয়ারি ওন্টারিওর পেট্রোলিয়ার একটি শিশুকেন্দ্রের বাইরে থাকা পুলে পড়ে যায় ২০ মাস বয়সী শিশু ওয়েলন সান্ডার্স। প্রায় পাঁচ মিনিট সে পানিতেই পড়ে ছিল। যখন ওয়েলনকে পানি থেকে তোলা হয় তখন তার কোনো হৃৎস্পন্দন ছিল না এবং পুরো শরীর ঠাণ্ডা ছিল।

তখন উদ্ধারকারীরা তাকে দ্রুত এলেনর ইংলেহার্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। তখনই শিশুটিকে বাঁচাতে সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করেন চিকিৎসকরা। হৃৎস্পন্দন সচল না থাকায় তার ওপর টানা তিন ঘণ্টা সিপিআর প্রয়োগ করেন তারা। এরপর হঠাৎ করেই নড়ে ওঠে ওয়েলন।

ওয়েলনকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে উন্নত সরঞ্জামের অভাব ছিল। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসক, ল্যাব ওয়ার্কার এবং নার্সদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। তাকে বাঁচাতে সবাই যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করেন। তারা পর্যায়ক্রমে তিন ঘন্টা ওয়েলনের ওপর সিপিআর প্রয়োগ করেন।

হাসপাতালটির পরিচালক ডাক্তার টেইলর সিবিসিকে বলছেন, ‘এটি সত্যিই একটি দলগত প্রচেষ্টা ছিল। ল্যাবের লোকেরা একটা সময় ওই রুমে পোর্টেবল হিটার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ইএমএসের কর্মীরা কম্প্রেসার অদল-বদল করে তার বায়ুপ্রবাহ ঠিক রাখতে সাহায্য করেছেন। নার্সরা ওয়েলনকে উষ্ণ রাখতে বার বার মাইক্রোওয়েভ থেকে পানি এনেছেন।’

ওয়েলন গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায়। বর্তমানে সে বাড়িতেই সেরে ওঠছে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

এসএ-০৫/২৩/০২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)