বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি। এমন পরিস্থিতিতে রোববার পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। পানি শোধনাগারের পাম্প ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত একদিনে বন্যায় ভারতে ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যা ও ভূমিধসে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশেই মৃতের সংখ্যা বেশি।
দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লাও ভাসছে পানিতে। দেখে মনে হতে পারে লালকেল্লার চারপাশেই যমুনা বয়ে চলেছে। শুধু কি লালকেল্লা, দিল্লির বেশিরভাগ রাস্তাই যেন পরিণত হয়েছে নদীতে। যমুনার পানিতে ভাসছে ওলিগলি।
কোথাও কোমর পর্যন্ত, কোথাও বুক পর্যন্ত পানি জমে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা যাচ্ছে না। পানি ঢুকে গেছে সুপ্রিম কোর্টেও। বিভিন্ন এলাকায় যারা আটকে পড়েছেন তাদের উদ্ধার করা হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তা ঘাটে যানজট বেধে যাওয়ায় ভোগান্তিতে বাসিন্দারা।
একইসঙ্গে পানি শোধনাগারের পাম্প ডুবে যাওয়ায় ৪টি পানি শোধনাগার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে করে বিশুদ্ধ পানি এবং বিদ্যুৎ সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে দিল্লি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনের এলাকাতেও পানি ঢুকে পড়েছে। জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন কেজরিওয়াল। এ অবস্থায় সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনীকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে রোববার পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। যমুনার পানির উচ্চতা বেড়েছে গেল ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তবে শুক্রবার তা কমেছে, তবে তা খুবই সামান্য।
এদিকে গত কয়েকদিনের বন্যা ও ভূমিধসে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। ভেঙেছে সেতু, ভাসিয়েছে বহু গ্রাম। উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নেয়া বহু মানুষকে হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়।
যেসব এলাকা থেকে পানি সরে গেছে সেসব এলাকায় ভয়াবহ ক্ষতচিহ্ণ দেখা যাচ্ছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বহু স্থাপনা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও ভারি বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে।
এদিকে আসামে সাম্প্রতিক বন্যায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
এসএইচ-১১/১৪/২৩ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)