ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন দেশের মুসলিম সম্প্রদায়। ওই সময় বিক্ষোভকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে তিউনিসিয়া পর্যন্ত শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় চলমান বোমা হামলার পর ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।
হাজারো বিক্ষোভকারীকে শুক্রবার ইয়েমেনের রাস্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিকৃতি পোড়াতে দেখা যায়।
মিশরের রাজধানী কায়রোতে বিশ্বের অন্যতম পুরোনো মসজিদে মুসলিমরা এক হয়ে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন।
কায়রোতে বিক্ষোভকারী এক নারী বলেন, ‘গাজার কষ্ট, আমাদের কষ্ট।’
একই সময় জর্ডানে প্রায় ছয় হাজার মানুষ গাজার সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নেন, যেখানে অধিকাংশ নাগরিক ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। তুরস্কে গাজায় নিহতদের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতেও গাজায় বোমা হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
ইসরায়েলে ঢুকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়ায় উপত্যকায় দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত হয়েছে চার হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের ৪০ শতাংশই শিশু।
গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরার বরাত দিয়ে শুক্রবার আল জাজিরা জানায়, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় চার হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে রয়েছে এক হাজার ৬৬১ শিশু।
আল-কুদরা জানান, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয় ১৩ হাজার ২৬০ ফিলিস্তিনি।
এদিকে দক্ষিণ ইসরায়েলে দুই সপ্তাহ আগে হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলি সেনাসহ প্রাণ যায় দেশটির কমপক্ষে এক হাজার ৪০০ নাগরিকের।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার ও প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার।
এসএইচ-১১/২১/২৩(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)