গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার পেছনে পশ্চিমারা ‘মূল অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) ইস্তাম্বুলে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে আয়োজিত বিশাল এক বিক্ষোভ-সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। খবর তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
আনাদোলু জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তুর্কি জাতির ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে শনিবার বিকালে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে আয়োজিত সমাবেশের আয়োজন করেন।
‘গ্রেট প্যালেস্টাইন মিটিং’ শীর্ষক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে এরদোয়ান তুরস্কের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং স্বাধীনতাকামী। আর ইসরাইল অবৈধ দখলদার।
তিনি বলেন, আবারও বলছি, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। এতে ইসরাইল খুবই ক্ষুণ্ণ হয়েছিল, ইসরাইল একটি দখলদার। সমাবেশে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেন। তুরস্ক ও ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ান।
তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বকে বলব, ইসরাইল যুদ্ধাপরাধী। আমরা এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। গাজায় গণহত্যার মূলহোতা পশ্চিম। পশ্চিমারা ইসরাইলের কাছে ঋণী, কিন্তু তুরস্ক ঋণী নয়।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ পরিচালনা করলে সংঘাত শুরু হয়।
স্থল, সমুদ্র এবং আকাশপথে চালানো অভিযানে বেশ কয়েকশ ইসরাইলি নিহত হয়। এখন পর্যন্ত হামাসের হামলায় ১৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
হামাস বলেছে, আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়েছে।
ওই দিন থেকেই ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় অবিরাম বোমাবর্ষণ শুরু করে। শুক্রবার রাতে অভিযান আরও জোরদার করা হয়। ইতোমধ্যে গাজায় চলছে সমন্বিত অবরোধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি, ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৭ হাজার ৩২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু।
এসএ-০৭/১০/২৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)