গাজায় সহিংসতা চলছেই। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে লাগাতার বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। এতে শিশুসহ হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় সংস্থাটির ত্রাণ বিষয়ক সংস্থার ৮৮ জন সদস্য নিহত হয়েছে। এর আগে আর কোনো একক সংঘাতে জাতিসংঘের এত সদস্যের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত সংঘাতপূর্ণ এলাকায় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এক যৌথ বিবৃতিতে প্রধান সংস্থাগুলো জানিয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি দেখছে বিশ্ব। সেখানে প্রতিনিয়ত প্রাণহানি এবং লোকজনের বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ার ঘটনায় বিশ্ব হতবাক ও বিস্মিত।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, সেভ দ্য চিলড্রেনসহ বিভিন্ন সংস্থা দুপক্ষেরই প্রাণহানির কথা উল্লেখ করেছে। একই সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর হামাস যাতের জিম্মি করেছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। অবরুদ্ধ এলাকাটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৭৭০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। গত প্রায় এক মাস ধরে গাজায় বোমা হামলা ছালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না আবাসিক ভবন, শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল ও স্কুল। এতে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।
অপরদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, তাদের সৈন্যরা গাজায় প্রবেশ করে উপকূল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ফলে কার্যত তারা গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে। একটি হচ্ছে উত্তর গাজা এবং আরেকটি দক্ষিণ গাজা। এর আগে তিনি জানান, সেনারা গাজা শহরটিকে ঘিরে ফেলেছে।
হাগারি বলেন, ইসরায়েল এখনো গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যেতে বাসিন্দাদের জন্য একটি ‘করিডোর’ খোলা রেখেছে। ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে, তারা হামলা আরও জোরদার করবে এবং গাজা উপত্যকা এবং গাজা শহর ঘিরে স্থল অভিযানও আরও শক্তিশালী করা হবে।
এসএ-০৬/১১/০৬ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)