ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘বর্বরোচিত’ হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন বেলজিয়ামের উপ-প্রধানমন্ত্রী পেট্রা ডি সাটার। সেই সঙ্গে গাজার হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের ঘটনার তদন্ত করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আগ্রাসনের দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ও গাজার হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলার তদন্ত করতে বুধবার বেলজিয়াম সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী পেট্রা ডি সাটার।
পেট্রা ডি সাটার বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় এসেছে। বেসামরিক জনবসতিতে নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো অমানবিক। এমন আচরণের মাধ্যমে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যে দাবি তোলা হচ্ছে, তার কোনো গুরুত্ব ইসরায়েলের কাছে নেই।
‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত হবে, ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্থগিত করা। পাশাপাশি আক্রমণাত্মক ইসরায়েলি নাগরিক ও যেসব সেনাসদস্য গাজা যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত, তাদের ইউরোপে প্রবেশ নিষেধ করা উচিৎ। আর বেলজিয়াম সরকারের উচিত হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে অর্থ সহায়তা দেওয়া যাতে, তারা গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলার যথাযথ তদন্ত করতে পারে।
গাজা ভূখণ্ডে টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি হয়েছে। বর্বর এই হামলার জেরে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ-ধিক্কার বেড়েই চলেছে।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সাহায্য সংস্থা ইউএসএইডের এক হাজার কর্মী চিঠিতে সই করেছেন। সেই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহায়তার তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি ওয়াশিংটনের যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন।
ভিযানে মার্কিন সমর্থনের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন। চিঠিটি গত সপ্তাহে ইউএসএইডের যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশি শাখাগুলোর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। স্থানীয় সময় বুধবার এক হাজার কর্মীর সই করা চিঠিটি পায় ইউএসএইড।
এসএ-০৪/১১/০৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)