ক্ষুধায় কাঁদছে গাজার শিশুরা। বাচ্চারা এক টুকরো রুটি ও এক চুমুক পানি চাইছে। তবে ত্রাণ সহায়তার তেমন সরবরাহ নেই। মিলছে না সে সহায়তা। গাজা সফর করে এমনটাই বলছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) যোগাযোগ পরিচালক জুলিয়েট্টি তৌমা বলেন, শিশুরা এক টুকরো রুটি ও এক চুমুক পানি চাইছে। কিন্তু আমাদের কাছে ত্রাণ সহায়তার সরবরাহ নেই। জ্বালানির ঘাটতি তো রয়েছেই। খবর-বিবিসি।
গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) জাতিসংঘ কর্মকর্তা বলেন, এখানে আরও সহায়তা পাঠানো প্রয়োজন। দুটি জিনিসের বিশেষ প্রয়োজন। সেগুলো হলো জ্বালানি ও মানবিক যুদ্ধবিরতি।
জুলিয়েট্টি তৌমা আরও বলেন, ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে ১৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ লাখের বেশি মানুষকে সহায়তা করছে। সহকর্মীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এই সংখ্যাটি ৯৯ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে আর কোনো একক সংঘাতে সংস্থাটির একসঙ্গে এত কর্মীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে ইউএনআরডব্লিউএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়ে ১৪০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা এবং ২০০ জনকে জিম্মি করার পর ইসরাইল গাজায় বোমা হামলা শুরু করে। হামলার পর থেকে গাজায় কোনো জ্বালানি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। খাদ্য ও জ্বালানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
গাজায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতে এ পর্যন্ত চার হাজার ৪০০ শিশু নিহত হয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এসএ-০৮/১১/১০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)