গর্ভপাতে রাজি বাইডেন, বিরুদ্ধে ট্রাম্প

প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪। একেক দিনে একেক ইস্যুতে উত্তাল দুই বিরোধী শিবির ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান। সোমবার ছিল গর্ভপাত নিয়ে। দেশটির সবচেয়ে বিতর্কিত ও স্পর্শকাতর বিষয়টিতে শুরু থেকেই দুদলই দুই মেরুতে।

গর্ভপাতে রাজি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল। অন্যদিকে বিরুদ্ধে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান। আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পকে নারী ভোটারদের কাছে ধরাশায়ী করতে গর্ভপাতকেই প্রচার এজেন্ডা হিসেবে বেছে নিল ক্ষমতাসীন ডেমেক্র্যাট। এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতকে বৈধ করতে সুপ্রিমকোর্টের ঐতিহাসিক ‘রো বনাম ওয়েড’ সিদ্ধান্তের ৫১তম বার্ষিকীতে সোমবার এই বিষয়ে দেশব্যাপী সফর শুরু করছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সোমবার প্রথমদিনেই আসেন উইসকনসিনে। নারীদের প্রজনন অধিকার নিয়ে বক্তৃতা দিতে আজ যাবেন ভার্জিনিয়ায়। একটি বড় সমাবেশে অংশ নেবেন। কমলা হ্যারিসের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও থাকবেন সেখানে। সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং হ্যারিসের স্বামী ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’ ডগলাস এমহফও।

রো বনাম ওয়েড ৪১০ ইউ.এস. ১১৩ (১৯৭৩), মার্কিন সুপ্রিমকোর্টের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। ‘যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সাধারণত গর্ভপাতের অধিকারকে রক্ষা করে’ এ সম্পর্কিত একটি রায় দেওয়া হয়েছিল সেসময়। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে ট্রাম্প সুপ্রিমকোর্টের তিন বিচারপতিকে মনোনীত করেছিলেন যারা রো বনাম ওয়েডকে বাতিল করার জন্য ভোট দিয়েছিলেন।

নিউউয়র্ক টাইমসরে প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতের সিদ্ধান্তের পর থেকে ১৪টি মার্কিন রাজ্য গর্ভপাতের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর অন্য সাতটি রাজ্য সময়সীমা আরোপ করেছে।

ভার্জিনিয়ার সমাবেশে বাইডেন এবং অন্য বক্তারা ২০২৪ সালে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গর্ভপাতের নিষিদ্ধের হুমিকসহ ‘প্রজনন স্বাধীনতা কি ঝুঁকির মধ্যে আছে’ তা নিয়ে কথা বলবেন। এর আগে শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে হ্যারিস বলেছিলেন, ‘ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচিত হলে তিনি প্রতিটি রাজ্যে গর্ভপাতের এই আইন প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন।

এসএ-০৯/২২/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)