বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিক বিবেক রামস্বামীকে যথাক্রমে প্রধান ও উপপ্রধান করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ নামে নতুন যে মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প; তার জেরে নিকট ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থার হারানো ঝুঁকিতে অন্তত ১ লাখ বা তারও বেশিসংখ্যক সরকারি চাকরিজীবী।
বুধবার বিবিসি, সিএনএনসহ পশ্চিমা বিভিন্ন প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
একাধিক সূত্র তেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কর্মী ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিতে থাকা সরকারি বিভাগ ও দপ্তরগুলো হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর, এফবিআই, খাদ্য ও পুষ্টি পরিষেবা দপ্তর, পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কমিশন, অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়য়াস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ব্যুরো প্রভৃতি।
রিপাবলিকান পার্টির নেতা বিবেক রামস্বামী ২০২৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে ট্রাম্পের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি নামের এই মন্ত্রণালয়টি গঠিত হয়েছে। সংক্ষেপে এই মন্ত্রণালয়কে ‘ডোজ’ বলে উল্লেখ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও বিভিন্ন পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম।
মন্ত্রণালয় গঠনের পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, “একসঙ্গে, এই দুই চমৎকার আমেরিকান আমার প্রশাসনের জন্য সরকারি আমলাতন্ত্রকে আরও কার্যকর করে তুলবেন। বাড়তি নীতিমালা কমিয়ে আনা, অহেতুক ব্যয় কমানো ও কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরগুলোর পুনর্গঠনের পথকে প্রশস্ত করাই হবে তাদের প্রধান কাজ।”
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময় মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিবেক রামস্বামী। সেখানে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও পরিষেবাবিভাগে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন এবং তাদের বেতন-ভাতা বাবদ লাখ লাখ কোটি ডলার অপচয় হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে রামস্বামী আরও বলেছিলেন, তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে নিজ মেয়াদের চার বছরে সরকারি জনবলের ৭৫ শতাংশ ছাঁটাই করবেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মোট সংখ্যা ২২ লাখ ৫০ হাজার জন। ‘ডোজ’ এর আওতায় যদি সত্যিই ৭৫ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারিকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়, তাহলে চাকরি হারাবেন ১৬ লাখেরও বেশি সরকারি কর্মচারী।
এদিকে ইলন মাস্কও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান টেসলা ও এক্স থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য পরিচিত। গত দুই বছরে এ দুই প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন মাস্ক।
এসএ-০৯/১১/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)