দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এছাড়া ইসরায়েলি সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধেও জারি হয়েছে পরোয়ানা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বলেছে, গাজাবাসীকে বেঁচে থাকার উপকরণ থেকে বঞ্চিত করে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ করেছেন।
আইসিসি পরোয়ানা জারির পর নেদারল্যান্ডস, ইতালিসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশ জানিয়েছে, যদি নেতানিয়াহু তাদের দেশে প্রবেশ করে তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, হাঙ্গেরি এবং আর্জেন্টিনার মতো কয়েকটি বড় দেশ নেতানিয়াহুর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন তিনি নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ করে নিজ দেশে আনবেন। অপরদিকে আর্জেন্টিনা বলেছে তারা নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের পক্ষে থাকবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আইসিসির এই রায় সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকারকে উপেক্ষা করেছে।”
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিজেকে ইসরায়েলপন্থি হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি দখলদার ইসরায়েলে সফর করেন এবং জেরুজালেমে আর্জেন্টিনার দূতবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।
জন্মসূত্রে ক্যাথলিক খ্রিস্টান এবং এই ধর্মের রীতিনীতি মেনে বেড়ে উঠলেও ইহুদি ধর্মের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ আছে বলে দাবি করে থাকেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনায় সবচেয়ে বেশি ইহুদির বসবাস রয়েছে।
সূত্র: বুয়েন্স আয়ার্স টাইমস
এসএ-০৮/১১/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)