কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে জড়ো হয়েছেন তার দল পিটিআইয়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
গত রোববার সারাদেশ থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার ইসলামাবাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ডি-চকে পৌঁছান কয়েকশ নেতাকর্মী। অপরদিকে ডি-চক থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে অবস্থান করছেন। তারাও ধীরে ধীরে সেখানে আসছেন।
এসবের মধ্যেই ইমরানের দল পিটিআই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছে, ‘বিজয় সন্নিকটে’। তবে এটির মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে সেটি স্পষ্ট নয়।
এছাড়া পিটিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহার আলী খান বলেছেন, তাদের আশা ইমরান খান দ্রুতই ছাড়া পাবেন।
তিনি মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, “আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি নিরীহ মানুষের ওপর গুলি চালানো থেকে বিরত থাকুন। আমি পিটিআইয়ে কর্মী ও সমর্থকদের বলতে চাই, আমরা আশাবাদী ইমরান খান আগেই মুক্তি পাবেন, ইনশাআল্লাহ।”
এদিকে এরমধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশটির প্রশাসনিক কেন্দ্র খ্যাত ডি-চকের দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠা পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
এই অভিযানের আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে ইসলামাবাদের সব মার্কেট তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যে কারণে রাতে পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যতদিন দরকার ইসলামাবাদে অবস্থান চালিয়ে যাবেন তারা। কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলছে, মঙ্গলবার পাকিস্তানের আধা-সামরিক বাহিনী পাক রেঞ্জার্সের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে তাজা গুলি বর্ষণ করেছে।
পিটিআই বলছে, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর গুলিতে তাদের অন্তত দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২০ জনের বেশি। আহতদের উদ্ধারের পর স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসএ-০৮/১১/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)