এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে হঠাৎ উদ্বেগ বাড়ছে। চীন থেকে ছড়ানো ভাইরাসটিতে এবার প্রতিবেশী দেশ ভারতে নয়জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর পর থেকেই উদ্বেগ—ফুসফুসের সংক্রমণ ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ কতটা বেড়েছে?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে ৭১৪ জনের এইচএমপিভি পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১.৩ শতাংশের শরীরে ওই ভাইরাস ধরা পড়েছে। ডিসেম্বর এইচএমপিভি সংক্রমিত নয়জনের মধ্যে চার জন ছিলেন পুদুচেরির, দুজন ওড়িশার এবং ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি থেকে এক জন করে। তারা প্রত্যেকেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এদিকে চীনে হঠাৎ এইচএমপিভি সংক্রমণ ছড়ানোর ঘটনায় ভারতীয়দের একাংশের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। অনেকেই এইচএমপিভির সঙ্গে করোনা ভাইরাসের তুলনাও টানছিলেন।
যদিও ভারতের কেন্দ্রীয় চিকিৎসা সংগঠন আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ) প্রথম থেকেই বলে আসছে, ‘এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। তা ছাড়া ওই ভাইরাসে ভারতে নতুনও নয়। ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ওই ভাইরাস। তার অস্তিত্ব অনেক আগে থেকেই ভারতসহ বহু দেশে ছিল।’
কিন্তু তার পরেও গত কয়েক দিনে ভারতের তিনটি শিশুর শরীরে এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে। আইডিএসপি অবশ্য জানিয়েছে, দেশে এইচএমপিভি সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে, তা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।
অপরদিকে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের (এইচএমপিভি) সংক্রমণ নিয়ে ভারতের সব কটি রাজ্যকে নজরদারি বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে বলা ঘয়, ফুসফুসের সংক্রমণজনিত অসুস্থতা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার হার বাড়ছে কি না।
এসএ-০৮/০১/২৫(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)