স্ত্রীর ভোটও পেলেন না সদস্যপ্রার্থী

নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকতে স্বামীকেও নিজের ভোটটি দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সদস্যপ্রার্থী আজিজুল হকের স্ত্রী এবং ক্ষেতলাল পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজেদা বেগম।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জয়পুহাটের প্রতিটি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইভিএমে টানা ভোটগ্রহণ চলে।

এদিকে জয়পুরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত নিজ নিজ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত নির্বাচনী ফলাফল শিট থেকে জানা যায়, এ নির্বাচনে পাঁচ উপজেলায় মোট সাতজন প্রার্থীর ফলাফল শূন্য। তারা একটি ভোটও পাননি।

একটি ভোটও না পাওয়া সদস্যপ্রার্থীরা হলেন: জয়পুরহাট সদর উপজেলায় মাসুদ রানা রোজ (অটোরিকশা), পাঁচবিবি উপজেলায় ফারুক হোসেন ইব্রাহীম (টিউবওয়েল), কালাই উপজেলায় ছানোয়ার হোসেন (টিউবওয়েল), ক্ষেতলাল উপজেলায় এসএম তুহিন ইসলাম (উট পাখি), আজিজুল হক (ক্রিকেট ব্যাট), আক্কেলপুর উপজেলায় গোলাম মোস্তফা (তালা) ও মাহমুদুল হাসান (হাতি)।

জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে সাধারণ সদস্যপদের প্রার্থী আজিজুল হকের স্ত্রী সাজেদা বেগম ক্ষেতলাল পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর। অথচ তিনি তার স্ত্রীর ভোটটিও পাননি।

এ বিষয়ে সদস্যপ্রার্থী আজিজুল হকের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে তার স্ত্রী সাজেদা বেগম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার স্বামী আজিজুল হক ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। আর এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মোট ৩ জন প্রার্থী সাধারণ সদস্যপদে মাঠে থাকায় সিদ্ধান্তক্রমে আমরা নিরপেক্ষ থেকেছি। যে কারণে আমার স্বামীকে আমার ভোটটিও দিতে পারিনি।’

জয়পুরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৮ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ২৫ প্রার্থী ছিলেন।

এসএইচ-১৩/১৭/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)