কন্যাশিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

কুড়িগ্রামে মারধর করার পর দেড় মাস বয়সী কন্যাশিশু সিনহাকে কেড়ে নিয়ে গৃহবধূ লাইজু বেগমকে (২৫) বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে স্বামী শহিদুর রহমান (৩৫)। লাইজু বেগম এ অভিযোগ থানায় গিয়ে জানালে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তৎপরতা চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার কোলে ফিরিয়ে দেয়।

শুক্রবার ভোররাতে ওই শিশুটিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সরা মৌজার আদর্শপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর মারধরে আহত লাইজু বেগমকে তার শিশুকন্যাসহ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. শাহরিয়ার জানান, সরা মৌজার আদর্শপাড়া গ্রামের কাশেম আলীর পুত্র এবং থ্রি-হুইলার গাড়ির চালক শহিদুর রহমান ৩ সন্তানসহ প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়। এরপর দুই বছর আগে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের মৃত দুলাল মিয়ার কন্যা লাইজু বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

এ অবস্থায় পারিবারিক কলহের জের ধরে মারধর করে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কন্যাশিশুটিকে কেড়ে নিয়ে স্ত্রী লাইজু বেগমকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্বামী শহিদুর রহমান।

ওই দিন মধ্যরাতে কন্যাকে ফিরে পাওয়ার জন্য থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন লাইজু বেগম। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিট অফিসার এএসআই মিল্টনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শহিদুর শিশুকন্যা সিনহাকে নিয়ে বাড়ি থেকে সটকে পড়ে।

পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ চারদিকে তল্লাশি শুরু করলে শহিদুর গ্রামের শেষ মাথার একটি বাড়ির আঙিনায় শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে শুক্রবার ভোররাতে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে এনে মায়ের কোলে তুলে দেয়। শহিদুল রহমান বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে।

এসএইচ-২৩/০১/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)