ভোটের লড়াইয়ে দুই সতীন, বিপাকে স্বামী

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই সতীন সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে কেউ রাজি নন। এ অবস্থায় এক স্ত্রীকে সমর্থন দিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্বামী। ‘ঘরের লড়াই’ ভোটের মাঠে দেখে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন চন্দ্রখানা বুদারবান্নি গ্রামের ফজলু কসাইয়ের দুই স্ত্রী আঙ্গুর বেগম ও জাহানারা বেগম। আগামী রোববার ভোট হবে। ফজলু আঙ্গুর বেগমের পক্ষ নিলেও আরেক স্ত্রী জাহানারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি নন।

ফজলু বলেন, প্রথম স্ত্রী আঙ্গুর ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা তার সঙ্গেই থাকেন। আর তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা থাকেন আলাদা বাড়িতে। এবারের নির্বাচনে আঙ্গুর বেগম সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তৃতীয় স্ত্রী জাহানারাও ভোটে দাঁড়িয়েছেন, নিষেধ সত্ত্বেও সরে দাঁড়াননি তিনি।

এ ব্যাপারে জাহানারা বেগম বলেন, ২০১৭ সালে আমি স্বামীর সমর্থনে প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হই। তখন দ্বিতীয় হয়েছিলাম। আমার জনপ্রিয়তার ঈর্ষান্বিত হয়ে সতীন আঙ্গুর বেগম স্বামীকে ফুসলিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাতে আমি ভয় পাই না।

গত শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দে আঙ্গুর পেয়েছেন কলম আর জাহানারা পেয়েছেন তালগাছ। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে আরও পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয়রা জানান, তৃতীয় বিয়ের পর ফজলু কসাইয়ের পরিবারে কলহ সৃষ্টি হয়। এখন দুই সতীন পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।

এসএইচ-২৪/২৬/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)