স্ত্রীর পরকীয়ায় প্রাণ গেল স্বামীর

লালমনিরহাট পৌরসভার তিনদিঘিরপাড় এলাকায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের হাতেই খুন হয়েছেন কৃষক আব্দুল জলিল। ঘটনার তিনদিন পর এ রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ।

বুধবার দুপুরে এসপি (এ সার্কেল) মারুফা জামাল হত্যার সঙ্গে জড়িত স্ত্রী মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণের তথ্য নিশ্চিত করেন। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় ব্যবহৃত আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের বিশেষ টিম।

মারুফা জামাল বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিনে একসঙ্গেই ছিলেন পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী ও আব্দুল জলিল। ওইদিন গভীর রাতে পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী কৌশলে জলিলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে অপেক্ষারত স্ত্রী মমিনা বেগম স্বামী ঘুমিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুর তিনদিন পর কুলখানি অনুষ্ঠান শেষে বড় ভাই আব্দুর রশিদ মৃত জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগমকে তাদের সাথে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তাদের সাথে যেতে অস্বীকার করেন। এসময় মমিনা বেগম জানান, আমি এখানেই আবার বিয়ে করবো এবং এখানেই থাকবো। এ কথা শোনার পর জলিলের বড়ভাই রশিদের সন্দেহ হয়। সন্দেহের জেরে পরদিন গত ২৫ জুলাই তার ছোটভাইকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে এসপির বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

মারুফা জামাল আরও জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে ওইদিনই পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামালের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সূত্র পাচ্ছিল না পুলিশ।

পরে তাদের ফোন কল যাচাই করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কৃষক জলিলকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী।

বুধবার মমিনা বেগম ও প্রেমিক গোলাম রব্বানীকে ১৬৪ দারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে এসপি (এ সার্কেল) মারুফা জামাল নিশ্চিত করেন।

এসএইচ-১৬/২৮/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)