নিজের কিশোরী মেয়ে সহ ২০টি বিয়ে “স্ব-ঘোষিত” ধর্মগুরুর

তাঁর বয়স এখন ৪৬ বছর। আর এর মধ্যেই গুনে গুনে ২০টি বিয়ে করে ফেলেছেন এই ব্যক্তি। অবশ্য যে কোনও কাউকে বিয়ে করতে তিনি মোটেই রাজি নন। বেছে বেছে কমবয়সি মেয়েদের বিয়ে করার দিকেই তাঁর ঝোঁক বলে জানা গিয়েছে। তাঁর ২০ জন স্ত্রীর মধ্যে অধিকাংশই নাবালিকা, যাদের বয়স ১৫ বছরেরও কম। এমনকি একজনের বয়স মাত্র ৯ বছর বলেও জানা গিয়েছে। এই মেয়েদের নানারকম বিকৃত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন ওই স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’, এমনটাই অভিযোগ। তাঁর দাবি, ওই নাবালিকারা আসলে ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের শরীরকে উৎসর্গ করেছে এবং ঈশ্বর তাদের আবার কুমারীতে পরিণত করেছেন। তবে ঈশ্বরের নাম নিলেও শেষ পর্যন্ত শেষরক্ষা হয়নি। এতদিন সবার চোখের আড়ালে নিজের কার্যকলাপ চালিয়ে গেলেও অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন ওই ব্যক্তি।

স্যামুয়েল রাপ্পিলি বেটমেন নামের ওই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমের অঙ্গরাজ্য আরিজোনা অঞ্চলের এক গোষ্ঠীর নেতা। ফান্ডামেন্টালিস্ট চার্চ অফ জিসাস ক্রাইস্ট অফ লেটার-ডে সেন্টস নামের ওই গোষ্ঠীর গুরু হিসেবেই পরিচিত এই ব্যক্তি। প্রায় ৫০ জন অনুগামীও রয়েছে তাঁর। আরও জানা গিয়েছে, ওই গোষ্ঠীটি অনেকের সাথে মিলিত হবার আচার পালন করে। এই গুরুও তার ব্যতিক্রম নন।

সেই কারণেই নিজে একাধিক বিয়ে করার পাশাপাশি অনুগামীদেরও একাধিক মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে উৎসাহ দিতেন ওই গুরু। এমনকি তাঁর নিজের মেয়েদের সঙ্গে শিষ্যদের মিলিত হবার প্ররোচনা দিয়েছেন তিনি এবং তাদের যৌন মিলনের সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর শুধু তাই নয়, নিজেই নিজের এক কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করেছেন তিনি।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই প্রথম পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ওই ব্যক্তি। রাজ্যের সীমান্ত পেরিয়ে নাবালিকাদের নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে আটক করে পুলিশ। তাঁর গাড়িতে ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে তিনটি কিশোরী ছিল বলে জানা যায়। আইনের ফাঁক গলে সেবার জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তথ্য নষ্ট করার অভিযোগে এবার ফের ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আর তদন্তের সূত্রেই তাঁর একাধিক স্ত্রী এবং বিকৃত যৌন সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। ওই গুরু নাবালিকাদের পাচার করতেন বলেও সন্দেহ করছে পুলিশ। সব মিলিয়ে এবার আর নিজের বাড়ির অন্দরমহলে ফেরার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর। বরং জেলেই জায়গা হয়েছে ওই ধর্মগুরুর।