রাজধানীর মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, হামলা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় একটি, খিলগাঁও থানায় দুটি ও শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। চার মামলাতেই বাদী হয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান নিশ্চিত করেছেন।
হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, গতকাল জামায়াতে ইসলামী অনুমতি না নিয়েই গণমিছিল শুরু করে। মিছিল থেকে জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করা হয়। অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার পর রাতে ও সকালে তিন থানায় চারটি মামলা হয়।
খিলগাঁও থানায় দুটি মামলা হয়েছে জানিয়ে ওই থানার ওসি মো. ফারুকুল আলম বলেন, দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। দুই মামলার বাদী এসআই রেজাউল ইসলাম। দুই মামলায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
রামপুরা থানার ডিউটি অফিসার এসআই রহমান জানান, একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩৫৷ বাদী এসআই মারুফ হোসেন। মামলার আসামি হাতেনাতে গ্রেপ্তার চারজনসহ অজ্ঞাত আরো অনেকে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, জামায়াতে ইসলামী পুলিশের কাছ থেকে গণমিছিলের অনুমতি নেয়নি। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। যেহেতু তারা বিনা অনুমোদনে একটা মিছিল বের করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা করে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি
এআর-০৫/৩১/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)