বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সমন্বয়ে কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের বিষয়ে একটি রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। এ মাসের মধ্যেই খসড়া তৈরি হবে। এরপর প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম একইভাবে সমন্বয় করা হবে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ৬৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিইআরসি আইন সংশোধন করা হয়েছে বিশেষ পরিস্থিতিতে মূল্য নির্ধারণের জন্য।
বিদ্যুতের খুচরা দাম বাড়ানো নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ইতিমধ্যে এক দফা সমন্বয় করা হয়েছে। এখন খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় আছে বিইআরসি। তারা সব বিতরণ কোম্পানি, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের নিয়ে শুনানি করছে। এরপর তারা সব যাচাই–বাছাই করে দাম নির্ধারণ করবে। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
জনজীবনে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রভাব মূল্যায়ন করতেই তো শুনানি করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম অনেক বেড়ে গেছে। পুরোটা তো মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে না, কিছু অংশ সমন্বয় করা হচ্ছে। আরেকটা অংশ ভর্তুকি দিতেই হবে, এটা সরকার দিয়েও যাচ্ছে। আশা করি, বিইআরসি সহনীয় মূল্য নির্ধারণ করবে।’
এআর-০৯/০৯/০১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)