‘বাংলা ভাইয়ের’ ভাতিজা গ্রেফতার

বগুড়ার গাবতলীতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য ওয়ালিউল্লাহ অলিকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।

গাবতলী থানা পুলিশ বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার গোলাবাড়ী বন্দর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে। তার কাছে ২৩টি নিষিদ্ধ জিহাদি বই পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ওয়ালিউল্লাহ অলি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের কর্ণিপাড়া গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। তিনি পল্লীমঙ্গল বারুইপাড়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি জেএমবির সাবেক অপারেশন কমান্ডার ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের ভাতিজা। স্ত্রীর চাকরির কারণে তিনি গোলাবাড়ী বন্দরে দুই সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। তার বিরুদ্ধে গত ২০১৭ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বগুড়া পুলিশের মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুরান জেএমবির কতিপয় সদস্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাবতলী উপজেলা এলাকায় আসে। তারা উত্তরবঙ্গে তাদের বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নপূর্বক হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে দেশকে অস্থিতিশীল, অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত এবং আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার লক্ষ্যে বৈঠক করবে। বুধবার ভোরে তারা বৈঠকের প্রস্তুতি নিলে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর জঙ্গি গাবতলীর রানীরপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে আহসান হাবিব ওরফে জামাত আলীসহ (৪৩) অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন পালিয়ে গেলেও জেএমবির সক্রিয় সদস্য ওয়ালিউল্লাহ অলিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার হেফাজতে থাকা ২৩টি নিষিদ্ধ ঘোষিত জিহাদি বই পাওয়া যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওয়ালিউল্লাহ অলি পুলিশকে জানান, তিনি জেএমবির সক্রিয় সদস্য ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি। পুরান কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তার বিরুদ্ধে গত ২০১৭ সালে সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে মামলা হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুরাতন জেএমবি সদস্যদের সুসংগঠিত করতে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তারা কয়েকজন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় গাবতলীর গোলাবাড়ী বন্দর এলাকায় একত্রিত হয়েছিলেন।

তাদের উদ্দেশ্য ছিল, পরস্পর যোগসাজশে দেশকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘন, হত্যাসহ গুরুতর আঘাত ও রাষ্ট্রের ক্ষতি করা। এ ছাড়া দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাড়িতে নিষিদ্ধ জিহাদি বই সংরক্ষণ করেন।

এআর-০৭/১২/০১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)